ক্লাসে দেরি করে আসার কারণ জানতে চাওয়ায় শিক্ষককে মেরে রক্তাক্ত

প্রকাশ | ২২ আগস্ট ২০২৩, ১৭:১১ | আপডেট: ২২ আগস্ট ২০২৩, ১৭:১২

কুষ্টিয়া প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস

কুষ্টিয়া সদর উপজেলার গোস্বামী দুর্গাপুর বহুমুখী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ধর্মীয় শিক্ষক মাওলানা মো. মনিরুজ্জামানকে শ্রেণিকক্ষে মেরে রক্তাক্ত জখম করেছে ৮ম শ্রেণির এক ছাত্র। এ সময় তার সঙ্গে মারধরে যুক্ত হয় তার কিশোর গ্যাং। অভিযুক্ত ছাত্রের নাম ইয়ামিন। সে গোস্বামী দূর্গাপুর ইউনিয়ন পরিষদের ৩নং ওয়ার্ডের মেম্বার শাহাজুলের ছেলে।

অভিযুক্ত ছাত্র ইয়ামিন ও তার ৪-৫ জন সহপাঠীর বিচার দাবি করেছেন শিক্ষকরা৷ এ ঘটনায় ক্ষোভ জানিয়ে অন্য শিক্ষার্থীরা জানায়, ইয়ামিনের বাবা মেম্বার হওয়ায় সে ক্লাসে এসে যা খুশি তাই করে। সে কিশোর গ্যাং লিডার। যার কারণে ইয়ামিন স্কুলে এসে তার খেয়াল খুশি মতো চললেও কেউ প্রতিবাদ করতে সাহস দেখায় না।

ক্লাসে দেরি করে এলে শিক্ষক তার দেরির কারণ জানতে চান। এতে মুখে মুখে তর্ক করে ইয়ামিন। এক পর্যায়ে ইয়ামিনসহ তার কয়েকজন বন্ধু শিক্ষকের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ে লাথি ঘুষি মারতে থাকে। এতে শিক্ষকের চোখের নিচ থেকে রক্ত ঝরে এবং তিনি গুরুতর আহত হন।     

বয়স্ক ধর্মীয় শিক্ষক মাওলানা মনিরুজ্জামান বলেন, ইয়ামিন ছোট্ট মানুষ, ভুল করে শিক্ষকের শরীরে হাত তুলেছে। সঙ্গদোষে নিমজ্জিত হয়ে ছেলেটা দিন দিন নষ্টের পথে হাঁটছে। বাবা মেম্বার হওয়াতে এত দাপট দেখিয়ে স্কুলে বিভিন্ন সময় অপকর্ম মারামারি করে থাকে ইয়ামিন। কতটা উগ্র মনোভাব হলে ছেলেটা অবশেষে শিক্ষকের গায়ে হাত তুলতেও দ্বিধা বোধ করলো না। 

ইয়ামিন আমাকে এতটাই জোরে জোরে কিল-ঘুষি মেরেছে যে, নিশ্চয় তার হাতেও সে ব্যথা পেয়ে থাকতে পারে। তিনি দুঃখ করে বলেন, আমার কোনো সন্তান আমার সঙ্গে  কখনো বেয়াদবি করেনি। আমি চাই, ইয়ামিন সঙ্গদোষ থেকে বেড়িয়ে এসে মানুষের মতো মানুষ হোক। 

 

(ঢাকাটাইমস/২২আগস্ট/এআর)