আ.লীগ গণতন্ত্রের লেবাস পরে গণতন্ত্র হত্যা করেছে: ড. মঈন খান

প্রকাশ | ২৩ আগস্ট ২০২৩, ১৫:০৩ | আপডেট: ২৩ আগস্ট ২০২৩, ১৫:০৮

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা টাইমস

আওয়ামী লীগ গণতন্ত্রের লেবাস পরে গণতন্ত্র হত্যা করেছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান। 

তিনি বলেন, ‘আমরা মুখে যেটা বলি কাজও সেটা করি। কিন্তু আওয়ামী লীগ মুখে যেটা বলে সেটা না করে অন্যটা করে। যেমন তারা গণতন্ত্রের কথা বলে কিন্তু বাস্তবে দেশ থেকে গণতন্ত্রকে বিতাড়িত করেছে। শুধু আজকে নয়, ১৯৭১ সালে স্বাধীনতার পরে আওয়ামী লীগ যখন সরকার গঠন করল, তখন সংসদে মাত্র ১১ মিনিটের ব্যবধানে গণতন্ত্রকে হত্যা করল।’

বুধবার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবে ‘গণতন্ত্র ও মানবাধিকার পুনরুদ্ধারের এক দফার বিকল্প নেই’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। 

বাংলাদেশ ইয়ুথ ফোরাম আয়োজিত এ আলোচনা সভায় প্রবন্ধ পাঠ করেন জিয়া পরিষদের সহকারী মহাসচিব এম নাজমুল হাসান।

ড. আব্দুল মঈন খান বলেন, ‘হাজার বছরের ইতিহাস ঘাঁটলে দেখা যায় বাংলাদেশের স্বাধীনতা কেউ হরণ করতে পারেনি। আজ আওয়ামী লীগ সরকার এসে বাংলাদেশের মানুষের স্বাধীনতা হরণ করতে পারবে না। বাংলাদেশের মানুষ স্বাধীনতার জন্য, গণতন্ত্রের জন্য, ভোটের অধিকারের জন্য জীবন দিয়েছে। আওয়ামী লীগের মতো একটি রাজনৈতিক দল তাদেরকে পদদলিত করতে পারবে না। তারা আবার জেগে উঠবে, দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করবে।’

সরকারের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের মানুষ গণতন্ত্র চায়। গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে, স্বাধীনতায় বিশ্বাস করে, লগি বৈঠা দিয়ে, গুম-খুন-হত্যা করে, গুলি করে কোনো পন্থায়ই বাংলাদেশের মানুষকে পদদলিত করতে পারবেন না।’


তিনি বলেন, ‘আমরা শান্তিপূর্ণ ও সুস্থধারার রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিত্ব করি। দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য আমরা রাজপথে আছি এবং থাকব। দেশনেত্রীকে মুক্ত করব দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করব।’


‘আওয়ামী লীগের মুখের ওপরে বলতে হবে, আওয়ামী লীগ গণতন্ত্রের প্রতিনিধিত্ব করে না, তারা বাকশালের প্রতিনিধিত্ব করে’- এমন মন্তব্য করে মঈন খান বলেন, ‘আমরা হচ্ছি শান্তির ও উদারনীতির রাজনৈতিক দল। আমরা প্রতিবাদ করছি প্রতিবাদ করে যাব যতক্ষণ না এই সরকারের পতন হয় দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা হয় বর্তমান নির্বাচন কমিশন বাতিল করে নতুন করে নির্বাচন কমিশন গঠন করে সুষ্ঠু নির্বাচন না হয়।’

অনুষ্ঠানে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট আহমেদ আযম খান বলেন, ‘নিজেদের ক্ষমতাকে চিরস্থায়ী করতে গ্রেপ্তার নির্যাতন, গুম খুন বাড়িয়ে দিয়েছে। তাদের ফ্যাসিবাদী শুরু হয়েছে স্বাধীনতার পর থেকেই।’

গুম-খুন করে সরকার পতনের আন্দোলন বন্ধ করা যাবে না বলে মন্তব্য করেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই সদস্য। তিনি বলেন, ‘নির্বাচনের নামে তামাশা করার জন্য আওয়ামী লীগ তাদের দলীয় প্রশাসন দিয়ে সাজিয়েছে। জনগণ ভোটের অধিকার নিশ্চিত করতে জেগে উঠেছে। এ নিশি রাতের সরকারকে বিদায় নিতে হবে। এজন্যই স্বৈরাচারী সরকারের পতন ও অধিকার আদায়ের জন্য আমাদের এক দফা।’

বাংলাদেশ ইয়ুথ ফোরামের সভাপতি মুহাম্মদ সাইদুর রহমানের সভাপতিত্বে এবং সহ-সভাপতি মাহমুদুল হাসান শামীমের সঞ্চালনায় এতে আরও বক্তব্য রাখেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা খন্দকার আব্দুল মুক্তাদির, দৈনিক নয়া দিগন্ত পত্রিকার সম্পাদক আলমগীর মহিউদ্দিন, বিএনপির তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সহ-সম্পাদক কাদের গনি চৌধুরী, আব্দুল্লাহ আল বাকী, শাহজাহান মিয়া সম্রাট, ওমর ফারুক প্রমুখ।

(ঢাকাটাইমস/২৩আগস্ট/জেবি/এফএ)