তজুমদ্দিনে চাল বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ
প্রকাশ | ২৪ আগস্ট ২০২৩, ০৯:৫৪
ভোলার তজুমদ্দিনে সরকারি-বেসরকারি এতিমখানা, লিল্লাহ বোডিং এবং সামাজিক কল্যাণে নিয়োজিত ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে মানবিক সহায়তার সরকারি বরাদ্দের চাল প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার নেতৃত্বে হরিলুটের অভিযোগ পাওয়া গেছে। সভাপতির নাম পরিবর্তন করে অজ্ঞাত ব্যক্তিকে সিপিসি দেখিয়ে চাল উত্তোলন করে প্রতিষ্ঠানে বরাদ্দের অর্ধেকের চেয়েও কম দেয়ায় ক্ষোভ দেখা দিয়েছে তাদের মাঝে। বরাদ্দের চাল না পেয়ে একটি প্রতিষ্ঠানের সভাপতি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার বরাবরে লিখিত অভিযোগ দাখিল করেন।
সূত্রে জানা যায়, ২০২২-২০২৩ অর্থবছরে তজুমদ্দিন থেকে মানবিক সহায়তার জন্য ভোলা জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে আবেদন করেন বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান। আবেদনের প্রেক্ষিতে গত ১৮ জুন ভোলা জেলা প্রশাসক ১৫টি প্রতিষ্ঠানের অনুকূলে ৩টন করে মোট ৪৫টন মানবিক সহায়তার চাল বরাদ্দ দেন। বরাদ্দের কাগজ হাতে পাওয়ার পর উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা সেলিম মিয়া অজ্ঞাত লোকদের সিপিসি দেখিয়ে পুরো চাল উত্তোলন করলেও বরাদ্দ পাওয়া প্রতিষ্ঠানের সভাপতিরা জানেইনা বরাদ্দের বিষয়ে। কিছু প্রতিষ্ঠানকে নাম মাত্র নগদ অর্থ প্রদান করেন প্রকল্প কর্মকর্তা সেলিম মিয়া নিজেই।
বরাদ্দের তালিকায় থাকা প্রতিষ্ঠানগুলো মধ্যে দুই/একটি খুঁজে পাওয়া গেলেও অধিকাংশ প্রতিষ্ঠানের অস্তিত্ব খুঁজে পাওয়া যায়নি তজুমদ্দিনে। যেখানে বরাদ্দ হচ্ছে মাদ্রাসার এতিমখানা ও লিল্লাহ বোডিংয়ের নামে সেখানে প্রতিষ্ঠানগুলির অস্তিত্ব না থাকায় অজ্ঞাতলোকদের সিপিসি করে চাল উত্তোলন করান।
জানতে চাইলে মোল্লাপুকুর জামে মসজিদ পরিচালনা কমিটির সভাপতি মো. ইয়াছিন মোল্লা বলেন, পিআইও আমাদের মসজিদের নামে ৩টন চাল বরাদ্দের কথা জানিয়ে কাগজপত্র দিতে বলে। তাদের নিয়মানুযায়ী সকল কাগজপত্র দেয়ার পরে আমাকে ২৫ হাজার টাকা দিলে আমি তা মসজিদের ক্যাশিয়ারের কাছে জমা দেই। তিনি টাকা কম দেয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে পিআইও বলেন এটা একটা সমঝোতা হবে।
সাজীপুকুর জামে মসজিদ পরিচালনা কমিটির ক্যাশিয়ার মো. সালাউদ্দিন বলেন, আমাদের মসজিদে ৩টন চাল বাবদ ১৫ হাজার টাকা দেয় পিআইও। আমরা সেই টাকা নেইনি। পরে মসজিদ পরিচালনা কমিটির সভাপতি বরাদ্দে চাল চেয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবরে একটি লিখিত অভিযোগ দেন।
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা সেলিম মিয়া নগদ টাকা দেয়ার বিষয় অস্বীকার করে বলেন, মসজিদ পরিচালনা কমিটির সভাপতির কাছে বরাদ্দের ডিও দেয়া হয়েছে। অভিযোগকারীদের সাথে অভিযোগের বিষয়ে সুরাহা হয়েছে। তবে অভিযোগকারী তার সাথে অভিযোগের বিষয়ে কোন সুরাহা হয়নি বলেও জানান তিনি।
তজুমদ্দিন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শুভ দেবনাথ বলেন, আমি এই উপজেলায় নতুন যোগদান করেছি। পুরনো বরাদ্দের বিষয়ে আমি কিছুই বলতে পারবো না। যারা তখন ছিলেন তারাই বিষয়টি ভালো বলতে পারবেন।
(ঢাকাটাইমস/২৪ আগস্ট/ইএইচ)