ড. ইউনূস নির্দোষ হলে বিবৃতি ভিক্ষা কেন, প্রশ্ন প্রধানমন্ত্রীর

প্রকাশ | ২৯ আগস্ট ২০২৩, ১৭:২৫ | আপডেট: ২৯ আগস্ট ২০২৩, ২০:৪৪

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা টাইমস

নোবেল বিজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বিরুদ্ধে চলমান মামলার কার্যক্রম স্থগিত করতে বিশ্বনেতাদের চিঠি দেওয়ার প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, নির্দোষ হলে ড. ইউনুস বিবৃতি ভিক্ষা করতে যেতেন না।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বিবৃতিদাতাদের বাংলাদেশে এসে ড. ইউনুসের কাগজপত্র পরীক্ষার করুক তখন দেখা যাবে তিনি কতটা নির্দোষ। বিদেশে কারো ভয় পাওয়ার কিছু নেই। আদালত স্বাধীন তাই স্বাধীনভাবে কাজ করবে।’

বিশ্ব অর্থনীতির এক-চতুর্থাংশের নিয়ন্ত্রণকারী পাঁচ দেশের জোট ব্রিকসের সম্মেলনে দক্ষিণ আফ্রিকা সফর নিয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে মঙ্গলবার বিকাল ৪টায় এই সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।

শেখ হাসিনা বলেন, ‘ড. ইউনূসের জন্য যারা বিবৃতি দিয়েছেন তাদের আহ্বান জানাই, বিবৃতি না দিয়ে বিশেষজ্ঞ পাঠান, আইনজীবী পাঠান। দলিল দস্তাবেজ, কাজগপত্র ঘেঁটে দেখুন অন্যায় আছে কি না। মামলা তো আমরা করিনি। এনবিআর থেকে আয়কর ফাঁকির মামলা করেছে। ক্ষতিগ্রস্ত লেবাররা মামলা করেছেন।’

তিনি বলেন, ‘জনগণকে সিদ্ধান্ত নিতে হবে তারা আসলে কি চায়। এরমধ্যে উন্নয়ন হয়েছে দেশের। খাদ্য স্বয়ংসম্পূর্ণ হয়েছে। তাই কে দেশ চালাবে কে আসবে কে থাকে সেটা জনগণকে সিদ্ধান্ত নিতে হবে।’

সরকারপ্রধান বলেন, ‘দুর্নীতির বিরুদ্ধে অভিযান করতে বলেছেন। কিন্তু দুর্নীতিবাজ পছন্দের লোক হলে আবার এগুলো নিয়ে কথা আসছে। আইন তো তার নিজস্ব গতিতে চলবে। দেশের আদালত স্বাধীন। আদালত তার গতি মতো চলবে।’

প্রথমবারেই ব্রিকসের সদস্যপদ পাওয়ার চেষ্টা করিনি:

ব্রিকসের সদস্যপদ প্রথমবারেই পাওয়ার চেষ্টা করেননি জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা যখন জানলাম নিউ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক হচ্ছে, সেটির ওপরেই আমাদের আগ্রহটা বেশি ছিল।’

‘ব্রিকসের সদস্য পদ চাইলে পাবো না এমন কিছু নয়। ব্রিকসের সদস্য পদ চাইনি। ব্রিকসের সদস্য পদ নিয়ে কোনো আলোচনাই হয়নি কখনো। প্রত্যেক কাজেরই একটা নিয়ম থাকে। আমরা সেটা মেনে চলি। ব্রিকসের সদস্যপদ পেতে কাউকে বলিনি। তারা সদস্য পদে ধাপে ধাপে নেবেন। পরে সদস্য সংখ্যা বাড়াবেন।’

‘আমরা জোর দিয়েছি, নিউ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংকের বিষয়ে। বাংলাদেশ কিছু চেয়ে পাবে না, সেই অবস্থায় নাই। আমরা এখন বিশ্বে বাংলাদেশকে মর্যাদার অবস্থানে নিয়ে গেছি। বাংলাদেশ এখন ভিক্ষা চাওয়ার মতো দেশ না। বিরোধীদের মধ্যে হাহুতাশ আছে। যারা বিবৃতি দিয়েছেন তারা দেশে এসে দেখুক আসলে কি।’

(ঢাকাটাইমস/২৯আগস্ট/জেএ/ডিএম)