পানির অভাবে পাট জাগ দিতে না পেরে বিপাকে হরিণাকুণ্ডুর চাষিরা

প্রকাশ | ০১ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১৫:০৭

শাহানুর আলম, ঝিনাইদহ

ঝিনাইদহের হরিণাকুণ্ডুতে এ বছর পাটের আবাদ ভালো হয়েছে। তবে পর্যাপ্ত বৃষ্টি না হওয়ায় নদী, খাল-বিলে পানি নেই। এতে পাট জাগ দিতে না পেরে বিপাকে পড়েছেন কৃষকরা।

উপজেলা কৃষি বিভাগের তথ্য মতে, এ বছর উপজেলায় ২ হাজার ৫৬০ হেক্টর জমিতে পাট চাষ করা হয়েছে, যা গতবারের তুলনায় প্রায় এক হাজার হেক্টর বেশি।

কৃষকরা বলছেন, এ বছর রোগবালাই খুব একটা না থাকায় পাটের ফলন ভালো হয়েছে। এতে পাট চাষে লাভের আশা দেখছিল তারা। কিন্তু বৃষ্টি না হওয়ায়  নদি খাল-বিলসহ বিভিন্ন ডোবা ও নালায় পাট জাগ দেওয়ারমত পর্যাপ্ত পানি নেই। এ কারণে কৃষকরা পাট কাটতে পারছেন না। অনেকেই আবার ভারী বৃষ্টিপাতে বিভিন্ন ডোবা-নালা পানিতে ভরাটের আশায় পাট কাটা শুরু করেছেন। কিন্তু কাঙ্ক্ষি বৃষ্টির দেখা না পেয়ে পানির অভাবে পাট জাগ দিতে পারছেন না।

এ অবস্থায় ভালো ফলন হলেও পর্যাপ্ত লোকসান গুনতে হবে বলে আশঙ্কা করছেন পাটচাষিরা।

উপজেলার চাদপুর, রঘুনাথপুর, তোলা, পারফলসী, জোড়াদহ,ভায়না,ভবানিপুর, সড়াতলা,ভাতুড়িয়া গ্রামের পাটচাষিরা জানান, এ বছর অনাবৃষ্টি ও তীব্র খরার কারণে নবগঙ্গা নদি, খাল বিলে পানি নেই। সরকারিভাবেও খালে কোনো পানির ব্যবস্থা করা হয়নি এখনো পর্যন্ত। চাষিরা পাট কাটা শু করলেও পানির অভাবে পাট মাঠেই রেখে দিচ্ছে। বৃষ্টির আশায় আছে অনেকে। তবে কৃষি বিভাগের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন অনেকেই।

উপজেলার এক কৃষক আলমগীর বলেন, ‘এবার পাটের ভালো ফলনের সম্ভাবনা থাকলেও পানির অভাবে পাট জাগ দিতে পারছি না। অনেক দুরে কাপাশহাটীয়া বাউড় নিয়ে গিয়ে পাট জাগ দিতে চরম বিপাকে পড়েছি।’ পরিবহন খরচও অনেক বেশি।

হরিণাকুণ্ডু উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা হাফিজ হাসান বলেন, চলতি মৌসুমে উপজেলায় জমিতে পাটের আবাদ অনেক ভালো হয়েছে। ফলনও বেশ ভালো হয়েছে। তবে যে বৃষ্টি হয়েছে তা পাট পচানোর জন্য যথেষ্ট নয়। তীব্র খরা আর অনাবৃষ্টির কারণে পাটচাষিরা পড়েছেন দুশ্চিন্তায়। পর্যাপ্ত বৃষ্টি হলে এ সমস্যা দূর হবে। তবে কয়েকদিনের বৃষ্টিতে আশার আলো দেখছিল চাষিরা তবে তা পর্যাপ্ত হয়নি। এছাড়াও পাট পচানোর জন্য পানি চেয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে স্লুইসগেট দিয়ে নদীতে পানি সরবরাহ চাওয়া হয়েছে। আশা করছি, দ্রুত সময়ের মধ্যে ক্যানাল ও নদীতে পানি সরবরাহ করা হবে। বাজারে ব্যবসায়ী ও ফড়িয়াদের কাছ থেকে জানা গেছে রকম ভেদে এবছর পাটের দাম ১৫’শ থেকে ২২’শ টাকা পর্যন্ত দেওয়া হচ্ছে। তবে এই দামে খুশি নন পাট চাষিরা। পাটের উৎপাদন খরচ অনেক বেশি। এর দাম ৩ হাজার টাকার ওপরে করার দাবি জানান চাষিরা।

 

(ঢাকাটাইমস/০১ সেপ্টেম্বর/এআর/এসএ)