কাস্টম গুদামের বিপুল স্বর্ণ গায়েব: চোর বাইরের নাকি ভেতরের, প্রশ্ন পুলিশের

প্রকাশ | ০৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১৪:১৭ | আপডেট: ০৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১৬:২৯

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা টাইমস
ফাইল ফটো

ডিএমপির উত্তরা বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) মোর্শেদ আলম বলেছেন, ‘কাস্টম হাউজের নিজস্ব গুদামে যে কারও যাওয়ার সুযোগ নেই। এখানে কাস্টমসের লোকেরাই যেতে পারেন। এই স্বর্ণ চুরির আলামত নেই বললেই চলে।’

তিনি বলেন, ‘আমাদের কাছে যে তথ্য-উপাত্ত আছে সেখানে বাইরে থেকে কেউ এসে স্বর্ণ নিতে পারবে না। কোনো ধরনের যন্ত্রপাতি ছাড়া যে আলমারিতে স্বর্ণ ছিল সেগুলো ভাঙা সহজ নয়। আর সেখানে যেসব যন্ত্রপাতি ছিল তা দিয়েও আলমারি ভাঙা সম্ভব না।’

ডিসি বলেন, ‘প্রতিটি ডিএমসিতে ১০টি স্বর্ণবার ছিল। চোর চুরি করলে তো ১০টা বারই নিয়ে যাবে। সে ওখান থেকে তো একটা-দুটো করে নেবে না।’


সোমবার দুপুরে ঢাকা টাইমসকে এসব কথা বলেন উত্তরার ডিসি মুর্শেদ আলম। 

 

গত শনিবার প্রথম স্বর্ণ চুরির বিষয়টি নজরে আসে। এ ঘটনায় গত রবিবার রাতে বিমানবন্দর থানায় মামলা হয়। সংস্থাটির সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা সোহরাব হোসেন মামলার বাদী হয়েছেন। মামলায় ৫৫.৫১ কেজি স্বর্ণ গায়েব হওয়ার কথা বলা রয়েছে।

 

কাস্টমসের বরাত দিয়ে ডিসি মুর্শেদ আলম বলেন, ‘যেসব ডিএমসি থেকে স্বর্ণ চুরি হয়েছে তাদের তথ্য মতে আংশিক স্বর্ণ চুরি হয়েছে। একবারে সব স্বর্ণ চুরি হয়নি। এখানে প্রশ্ন জাগিয়ে তুলেছে, চোর বাইরের নাকি ভেতরের কোনো অসাধু কর্মকর্তা-কর্মচারী চুরিতে জড়িত। এটা এখন তদন্তের বিষয়। আমরা সঠিকভাবে চিশ্চিত করে কোনো তথ্য দিতে পারছি না, এটা ভেতরের লোক করেছে নাকি বাইরের কেউ করেছে।’


উত্তরা বিভাগের পুলিশের এই ঊধ্বর্তন কর্মকর্তা বলেন, কাস্টমস নীতিমালা সম্পর্কে তো আমাদের ধারণা নেই। এখানে দীর্ঘদিন গোল্ড থাকার কথা নয়। কাস্টমস প্রায়ই গোল্ডের নিরাপত্তা চায় আমরা নিরাপত্তা দিই। আমরা এখান থেকে বাংলাদেশ ব্যাংকে প্রায়ই নিরাপত্তা দিয়ে গোল্ড নিয়ে যাই।’


এ চুরির তদন্ত শুরু হয়েছে জানিয়ে ডিসি বলেন, ‘গতকাল (রবিবার) রাত থেকে তদন্ত শুরু হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদ শুরু হয়েছে। তবে এখন পর্যন্ত জানানোর মতো কোনো তথ্য পাইনি।

 

ঢাকাটাইমস/০৪সেপ্টেম্বর/এসএস/এফএ)