৫৫ কেজি স্বর্ণ গায়েব: থানা হেফাজতে কাস্টমসের ৪ সিপাহিকে জিজ্ঞাসাবাদ

প্রকাশ | ০৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১৭:০৪

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা টাইমস

হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ঢাকা কাস্টমস হাউসের নিজস্ব গুদাম থেকে ৫৫ কেজি স্বর্ণ চুরির তদন্তে নেমেছে পুলিশ। মামলা করার পরদিন সোমবার দুপুরে গুদামের পাহারার দায়িত্বে থাকা কাস্টমসের চারজন সিপাহিকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) বিমানবন্দর থানায় নেওয়া হয়েছে। বিকাল সাড়ে ৪টায় এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত তাদের গ্রেপ্তার দেখানো হয়নি।

থানায় ডিএমপির উত্তরা জোনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ওই চারজন সিপাহিকে জিজ্ঞাসাবাদ করছেন বলে পুলিশের একটি সূত্র জানিয়েছে।

কাস্টমসের গুদাম এলাকাটি সংরক্ষিত। পুরো এলাকাটি ক্যামেরার আওতায়। এরপরেও কীভাবে চুরি হলো তা উদঘাটনে পুলিশের পাশাপাশি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর একাধিক ইউনিট মাঠে নেমেছে।

কাস্টমসের গুদাম থেকে ৫৫ কেজি স্বর্ণ চুরির ঘটনা ধরা পড়ে শনিবার গুদাম পরিস্কার পরিচ্ছন্নতার কাজ করার সময়। পরে রাতে বিমানবন্দর থানায় মামলা করে পুলিশ।

কাস্টমসের চারজন সিপাহিকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে থানায় নেওয়ার কথা নিশ্চিত করে উত্তরা বিভাগের উপকমিশনার (ডিসি) মোর্শেদ আলম ঢাকা টাইমসকে বলেন, ‘তাদের থানায় এনে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। তারা ওই গুদামের পাহারায় নিয়োজিত ছিলেন। তারা কর্তব্যরত অবস্থায় কী দেখেছেন, সন্দেহভাজন কাউকে দেখেছেন কিনা- তা জানার চেষ্টা করা হচ্ছে।’তাদের ভেতর কেউ জড়িত কিনা তা নিশ্চিত হওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে বলেও জানান ডিসি।

মামলা তদন্তসংশ্লিষ্ট একটি সূত্র জানিয়েছে, গুদাম এলাকার সিসি টিভির ফুটেজও বিশ্লেষণ করা হচ্ছে।

বিমানবন্দর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আজিজুল হক মিয়া ঢাকা টাইমসকে বলেন, কাস্টমস হাউসের গুদামের নিরাপত্তায় শিফটিং ডিউটি করতেন এমন চারজন সিপাহীকে আমরা হেফাজতে নিয়েছি জিজ্ঞাসাবাদের জন্য। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।

ওই স্বর্ণ চুরির ঘটনায় রবিবার রাত পৌনে ১১টায় কাস্টমসের সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা সোহরাব হোসেন বাদী হয়ে বিমানবন্দর থানায় মামলাটি দায়ের করেন। মামলায় অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের আসামি করা হয়েছে বলে পুলিশ জানিয়েছে।

মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, কাস্টম হাউজের নিজস্ব গুদাম থেকে ৫৫ কেজি ৫১ গ্রাম স্বর্ণ চুরি হয়েছে।

অবৈধ উপায়ে আনা যাত্রীদের কাছ থেকে জব্দ স্বর্ণের বার, অলংকারসহ গুরুত্বপূর্ণ জিনিসপত্র কাস্টম হাউসের গুদামে রাখা হয়। উধাও হওয়া স্বর্ণের মধ্যে অলংকার ও স্বর্ণের বার রয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, কোনো চক্র সুকৌশলে কাস্টম হাউস থেকে জব্দ স্বর্ণ সরিয়ে ফেলেছে। দীর্ঘদিন ধরে অল্প অল্প করে সরানো হয়েছে, নাকি একবারেই সব স্বর্ণ চুরি করা হয়েছে- তা নিশ্চিত হতে আশপাশের সিসি ক্যামেরার ফুটেজ বিশ্লেষণ করা হচ্ছে।

কাস্টম হাউসের একাধিক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, জব্দ মালপত্র গুদামে ঠিকঠাক রয়েছে কিনা, তা নিশ্চিত হতে কয়েক দিন ধরেই নিবিড়ভাবে কাজ করে যাচ্ছিল কাস্টম হাউস। আলাদা একাধিক দল গুদামের মালপত্রের তালিকা প্রস্তুত করছিল। এ সময় তারা দেখতে পায়, গুদামের একটি তালা বাইরে থেকে অক্ষত থাকলেও ভেতরের লকার ভাঙা। এর পরই স্বর্ণ চুরির বিষয়টি ধরা পড়ে।

(ঢাকাটাইমস/০৪সেপ্টেম্বর/আরআর/কেএম)