ইউনূস ইস্যুতে পাল্টা বিবৃতিতে ‘না’: ডিএজি এমরানকে অপসারণ প্রক্রিয়া শুরু

প্রকাশ | ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১২:৫৩ | আপডেট: ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১৩:৩২

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা টাইমস

ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বিরুদ্ধে বিবৃতিতে ‘সই না করা’ ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল (ডিএজি) এমরান আহমেদ ভূঁইয়াকে অপসারণ করা হচ্ছে। তাকে অপসারণের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে বলে আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সলিসিটর উইং সূত্রে জানা গেছে।

শান্তিতে নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বিচারিক কার্যক্রম স্থগিত চেয়ে বিশ্বনেতারা সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে চিঠি দেন। অ্যাটর্নি জেনারেলের কার্যালয় থেকে ওই চিঠির পাল্টা বিবৃতিতে এমরান আহমেদ স্বাক্ষর করবেন না বলে জানান।

সরকারের এই আইন কর্মকর্তা সোমবার সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণে সাংবাদিকদের বলেন, ‘অধ্যাপক ড. ইউনূসের পক্ষে ১৬০ জনের বেশি নোবেল বিজয়ী এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ও সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রীসহ অনেকেই বিবৃতি দিয়েছেন যে, ওনাকে বিচারিক হয়রানি করা হচ্ছে। সেটার বিপরীতে অ্যাটর্নি জেনারেল অফিস থেকে প্রতিবাদ জানিয়ে একটি বিবৃতি দেওয়ার কথা রয়েছে।’

‘নোটিশ দেওয়া হয়েছে, অ্যাটর্নি জেনারেল অফিসে কর্মরত সবাইকে সেই বিবৃতিতে স্বাক্ষর করার জন্য। আমি সিদ্ধান্ত নিয়েছি, এই বিবৃতিতে আমি স্বাক্ষর করব না।’

তার এমন সিদ্ধান্তের কারণ জানতে চাইলে ডিএজি এমরান সাংবাদিকদের বলেন, ‘ইসরায়েলের অ্যাটর্নি জেনারেল ইসরায়েলের যে আইন সংস্কার হচ্ছে; বিচার সম্পর্কিত, তার বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছেন, এটা আমার নিজস্ব চিন্তা। সে রকমই।’

ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নোবেল বিজয়ীসহ বিশ্বে বিভিন্ন ক্ষেত্রে নেতৃস্থানীয় দেড় শতাধিক ব্যক্তির ওই খোলাচিঠির সঙ্গে তিনি ‘একমত’ বলেও জানান ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এমরান। বলেন, ‘১৬০ জন নোবেল বিজয়ী এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা ও সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিলারি ক্লিনটন যে বিবৃতি দিয়েছেন, আমি ওনাদের বিবৃতির সঙ্গে একমত।’

‘আমি মনে করি, অধ্যাপক ড. ইউনূস একজন সম্মানিত ব্যক্তি। তার সম্মানহানি করা হচ্ছে এবং এটা বিচারিক হয়রানি’—বলেন তিনি।

(ঢকাটাইমস/০৫সেপ্টেম্বর/ডিএম)