অবৈধ দখলদারদের উচ্ছেদে মাঠে নেমেছে লক্ষ্মীপুর জেলা পরিষদ

লক্ষ্মীপুর জেলা পরিষদের মালিকানাধীন রামগিতর আলেকজান্ডার ও রামগঞ্জের পানপাড়া এলাকায় বেদখলীয় জমি থেকে অবৈধ দখলদারদের উচ্ছেদ কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে। পরে ওই জমিতে দোকানঘর নির্মাণ করে ইজারা দেওয়া হয়। এতে সরকারের রাজস্ব আদায় বেড়েছে।
বুধবার বিকালে জেলা পরিষদের গোপনীয় সহকারী রুহুল কুদ্দুস রুবেল বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এদিকে অবৈধ দখলদার চক্রকে জমি থেকে উচ্ছেদের ঘটনায় ক্ষিপ্ত হয়ে তারা জেলা পরিষদের বিপক্ষে নানান অপপ্রচার চালাচ্ছে। বিভিন্ন মাধ্যমে তারা জেলা পরিষদের সুনাম ক্ষুন্ন করার চেষ্টা করে আসছে বলে জানিয়েছেন কর্তৃপক্ষ।
জেলা পরিষদ সূত্র জানায়, রামগতির আলেকজান্ডার বাজারে জেলা পরিষদের ১ একর ৯৮ শতাংশ জমি রয়েছে। সেখানে একটি পুকুরও রয়েছে। রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যে ২ বছর আগে পুকুর ভরাট না করেই পাড় এলাকায় ৮ শতাংশ জমিতে দোকানঘর নির্মাণ করা হয়। পুকুরটি উম্মুক্ত রাখা হয়েছে। পরে দোকানগুলো নিয়ম অনুযায়ী একসনা ইজারা দিয়ে রাজস্ব আদায় করা হয়েছে। রাজস্ব বৃদ্ধির লক্ষ্যে মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা অনুযায়ী বেদখলীয় জমিগুলো থেকে অবৈধ দখলদারদের উচ্ছেদ করা হচ্ছে।
রামগঞ্জের লামচর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান প্রয়াত মোহাম্মদ উল্যা ও তার পরিবারের সদস্যরা পানপাড়া বাজারে প্রায় ৪ শতাংশ জমি একবছরের জন্য ইজারা নেয়। এরপর নবায়ন না করেই তারা ৭ বছর ধরে ওই জমি ভোগদখল করে আসছিল। জেলা পরিষদ থেকে নবায়নের জন্য কয়েকবার নোটিশ দিলেও তারা কর্ণপাত করেনি। উল্টো তারা স্থায়ী বন্দোবস্তের জন্য আবেদন করে। তাদের আবেদনটি বাতিল করা হয়েছে। এরপরও সেখানে তারা বহুতল ভবন নির্মাণের পাঁয়তারা করছিল। এতে তাদেরকে উচ্ছেদ করে জমিটি দখলমুক্ত করা হয়েছে।
জেলা পরিষদের গোপনীয় সহকারী রুহুল কুদ্দুস রুবেল বলেন, অবৈধভাবে জেলা পরিষদের সম্পত্তি দখলে রাখার সুযোগ নেই। জেলা পরিষদের মার্কেটসহ ইজারাকৃত জমি থেকে আদায়কৃত রাজস্ব দিয়ে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন ভাতা দেওয়া হয়।
আরও পড়ুন: ঝিনাইদহে জন্মাষ্টমী উপলক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত
লক্ষ্মীপুর জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. শাহজাহান বলেন, মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা অনুযায়ী অবৈধ দখলদারদের উচ্ছেদ করা হচ্ছে। এছাড়া রামগতির আলেকজান্ডার বাজার ও রামগঞ্জের পানপাড়ায় দোকানঘর নির্মাণ করে ইজারা দেওয়া হয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে জমিগুলো অবৈধ দখলদারের কবলে ছিল। এখন জমিগুলো জেলা পরিষদের দখলে রয়েছে।
(ঢাকাটাইমস/০৬সেপ্টেম্বর/এসএ)

মন্তব্য করুন