গাইবান্ধায় দ্বৈত ভোটার হয়ে সরকারি চাকরি, নির্বাচন অফিসে অভিযোগ

প্রকাশ | ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১৫:২৪

গাইবান্ধা প্রতিনিধি, ঢাকা টাইমস

গাইবান্ধায় আয়েশা সিদ্দিকা (৩৬) নামে এক নারীর বিরুদ্ধে দ্বৈত ভোটার হয়ে তথ্য গোপন করে সরকারি চাকরি করার অভিযোগ উঠেছে। শুক্রবার দুপুরে জেলা নির্বাচন অফিস সূত্রে বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া গেছে।

এর আগে বৃহস্পতিবার দ্বৈত ভোটার হয়ে জাতীয় পরিচয়পত্র সচল রেখে সরকারি চাকরিসহ অন্যান্য সুবিধা নিয়ে রাষ্ট্রের সঙ্গে প্রতারণা প্রসঙ্গে আলাল নামে এক ব্যক্তি জেলা নির্বাচন অফিসারের কাছে এই অভিযোগ করেন।

অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকের গ্রুপে একই নারীর দুটি জাতীয় পরিচয়পত্র দেখতে পান আলাল মিয়া। একজন সাংবাদিক ও সচেতন নাগরিক হিসেবে জাতীয় পরিচয়পত্র দুটি ডাউনলোড করে তিনি সংরক্ষণে রাখেন। পরবর্তীতে তিনি জানতে পারেন জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বর-3219125020625 ও 194887286৪ একই ব্যক্তি হয়েও একটিতে আয়শা খাতুন ও অন্যটিতে আয়শা সিদ্দিকা নাম ব্যবহার করা হয়েছে। শুধু তাই না জন্ম তারিখ, পিতার নাম, মাতার নাম, স্বামীর নামসহ ঠিকানা আলাদা আলাদাভাবে ব্যবহার করা হয়েছে। একটি জাতীয় পরিচয়পত্রে জন্মস্থান দেখানো হয়েছে লালমনিরহাট এবং অনন্য জাতীয় পরিচয়পত্রে জন্মস্থান রয়েছে গাইবান্ধা। বর্তমানে তিনি ২০১৭ সালে হওয়া ১৯৪৮৮৭২৮৬৪ পরিচয়পত্র নম্বর ব্যবহার করে গাইবান্ধা সদরের গোবিন্দপুর (পলাশ) সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে চাকরিরত আছেন।

অভিযোগে দুটি জাতীয় পরিচয়পত্র সংযুক্ত সহ নির্বাচন কমিশন ঢাকা ও নির্বাচন আঞ্চলিক কমিশন রংপুর বিভাগ, রংপুরে সদয় অবগতির জন্য প্রেরণ করা হয়।

এ ঘটনায় রাষ্টের সঙ্গে প্রতারণাকারী ওই নারীর বিরুদ্ধে যথাযথ আইনানুগ ব্যবস্থা নিতেও অভিযোগে অনুরোধ করা হয়।

এ ব্যাপারে অভিযুক্ত ওই শিক্ষিকার সঙ্গে মুঠোফোনে কথা হলে তিনি জানান, আমি বিষয়টি শুনেছি। আমি এ বিষয়ে আজই রাষ্ট্রের কাছে ক্ষমা চেয়ে আবেদন করেছি।

জেলা নির্বাচন অফিসার আব্দুল মোতালেব জানান, যদি কোন‌ নাগরিক অপরাধমূলক দ্বৈত ভোটার করে থাকে, তাহলে সেটি শাস্তিযোগ্য অপরাধ। আমাদের একটি কমিটি আছে দ্বৈত ভোটার হওয়ার বিষয়ে তদন্ত করে থাকে। বিষয়টি তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

(ঢাকা টাইমস/০৮সেপ্টেম্বর/এসএ)