আন্তর্জাতিক সাক্ষরতা দিবস আজ

পরিবর্তনশীল ও শান্তিপূর্ণ সামজ গঠনে সাক্ষরতা প্রসারের অঙ্গীকার

প্রকাশ | ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১৬:৩৩

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা টাইমস

আজ আন্তর্জাতিক সাক্ষরতা দিবস। এবছর দিবসটির প্রতিপাদ্য ‘পরিবর্তনশীল ও শান্তিপূর্ণ সামজ গঠনে সাক্ষরতার প্রসার।’ বর্তমানে দেশে সাক্ষরতার হার ৭৬ দশমিক শূন্য ৮ শতাংশ। গত বছর অর্থাৎ ২০২২ সালের সেপ্টেম্বরে এ হার ছিল ৭৪ দশমিক ৬৬ শতাংশ। সেই হিসাবে এক বছরে দেশে সাক্ষরতার হার বেড়েছে ১ দশমিক ৪২ শতাংশ।

শুক্রবার সকাল থেকে বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্যদিয়ে জাতীয় পর্যায়ের পাশাপাশি জেলা পর্যায়েও দিবসটি উদযাপন করা হচ্ছে। 

সাক্ষরতা দিবস উপলক্ষে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা সচিব ফরিদ আহাম্মদ বলেছেন, শতভাগ সাক্ষরতা অর্জনে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় নিরন্তর প্রয়াস চালিয়ে যাচ্ছে। দিবসটি উপলক্ষে নানা কর্মসূচি গ্রহণ করেছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। এর মধ্যে রয়েছে- আলোচনা সভা, ক্রোড়পত্র প্রকাশ, পোস্টার প্রকাশ, প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় এ সংক্রান্ত টকশো ও প্রতিবেদন প্রকাশ।

১৯৬৫ সালের ১৭ নভেম্বর এই দিবসটি পালনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। ইউনেস্কো এই দিনে সিদ্ধান্ত নিয়েছিল, সাক্ষরতার হার বৃদ্ধির জন্য বিশ্বজুড়ে আন্তর্জাতিক সাক্ষরতা দিবস পালিত হবে। পরের বছর, অর্থাৎ ১৯৬৬ সালের ৮ সেপ্টেম্বর প্রথমবারের মতো বিশ্ব সাক্ষরতা দিবস পালিত হয়, তারপর থেকে প্রতি বছর এই দিনটি পালিত হতে শুরু করে।

এদিকে স্বাধীনতার পরপরই ১৯৭২ সালে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের যে সংবিধান প্রণীত হয় তার ১৭ নম্বর অনুচ্ছেদে দেশ থেকে নিরক্ষরতা দূরীকরণ এবং শিক্ষাকে অবৈতনিক ও বাধ্যতামূলক হিসেবে ঘোষণা করা হয়। সাক্ষরতা বিস্তারে ১৯৭২ সালে স্বাধীন বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো সাক্ষরতা দিবস উদযাপিত হয়। ১৯৭৩ ঠাকুরগাঁওয়ে সাক্ষরতা অভিযান শুরু হয়। ১৯৭৩ সালে আন্তর্জাতিক সাক্ষরতা দিবসের প্রধান অনুষ্ঠানটি হয় ঠাকুরগাঁয়ে। এ দিনে ঠাকুরগাঁ-এর কচুবাড়ী-কৃষ্টপুর গ্রামকে বাংলাদেশের প্রথম নিরক্ষরতামুক্ত গ্রাম হিসেবে ঘোষণা করা হয়। 

(ঢাকাটাইমস/০৮সেপ্টেম্বর/টিএ/ইএস)