বাংলাদেশে গণতন্ত্র ‘গুম’ হয়েছে: ববি হাজ্জাজ
প্রকাশ | ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১৯:২৭
ইউরোপীয় পার্লামেন্টে বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে পাস হওয়া প্রস্তাব বর্তমান সরকারের জন্য আরেকটি কলঙ্ক উল্লেখ করে এনডিএম চেয়ারম্যান ববি হাজ্জাজ বলেছেন, এই ফ্যাসিস্ট সরকারের আমলে বাংলাদেশে গণতন্ত্র গুম হয়েছে। ভোটাধিকার, মানবাধিকার, মতপ্রকাশের স্বাধীনতা সবকিছুই আজ এক ব্যক্তির ইচ্ছা- অনিচ্ছার উপর নির্ভরশীল। মানবাধিকার লঙ্ঘনের দায়ে ইউরোপীয় পার্লামেন্টে আজারবাইজান, গুয়েতেমালার মত দেশগুলোর কাতারে বাংলাদেশকে বিবেচনা করা হচ্ছে। দেশের পরিস্থিতি নিয়ে গতকাল যে প্রস্তাব তারা নিয়েছে সেটি এই সরকারের অপকর্মের আরেকটি কলঙ্কজনক আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি।
শুক্রবার বিকালে রাজধানীর মালিবাগে অবস্থিত এনডি এম কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আন্তর্জাতিক গণতন্ত্র দিবস উপলক্ষে জাতীয়তাবাদী গণতান্ত্রিক আন্দোলন-এনডিএম কর্তৃক আয়োজিত "লড়বে এবার বাংলাদেশ, শীষক এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
এনডিএম এর ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মোমিনুল আমিনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এই আলোচনা সভায় ববি হাজ্জাজ বলেন, এ বছর আন্তর্জাতিক গণতন্ত্র দিবসের প্রতিপাদ্য হলো আগামী প্রজন্মের ক্ষমতায়ন। কিন্তু বাংলাদেশের তরুণ প্রজন্ম বিগত দুইটি জাতীয় নির্বাচনে নিজেদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারে নাই। নিজেদের ধর্মীয় অধিকারের পক্ষে কথা বলতে যেয়ে তাঁরা শাপলা ট্র্যাজেডির মুখোমুখি হয়েছে। নিজেদের সাংবিধানিক অধিকারের পক্ষে লিখতে যেয়ে তাঁরা জেলে গিয়েছে। দেশের সার্বভৌমত্বের কথা বলতে যেয়ে ক্যাম্পাস থেকে লাশ হয়ে ফিরেছে। রাজনৈতিক সংগঠনের ব্যানারে দাঁড়ালে তাঁরা ছাত্রলীগের মত সরকারি পেটোয়া বাহিনীর নির্মম নির্যাতনের শিকার হয়েছে। নিরাপদ সড়কের কথা বলতে গিয়ে তাঁরা রাস্তায় মার খেয়েছে।
এনডিএম চেয়ারম্যান বলেন, যে দেশে ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীর স্যালাইনের জন্য ফেসবুকে স্টাটাস দিতে হয়, সরকারের চোখের সামনে লাখো তরুণের স্বপ্ন ভেঙে প্রতারণার ফাঁদে অর্থলুট হয়, যেদেশে ট্রেড ইউনিয়ন করতে ২০ ভাগ শ্রমিক থাকার শর্ত জুড়ে দেয়া হয়, যেদেশের বিমানবন্দরে প্রবাসী ভাইয়েরা লাঞ্চিত হয়, যেদেশের উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানে গবেষণার পরিবর্তে সরকারের দালালি হয় সেদেশে নতুন প্রজন্মের ক্ষমতায়ন সম্ভব নয়।
জাতীয় পার্টির সমালোচনা করে ববি হাজ্জাজ বলেন, আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে গত ১৫ বছর ধরে দেশে গণতন্ত্রের নামে যে তামাশার নাটক মঞ্চস্থ হয়েছে তার খলনায়িকা হচ্ছে বেগম রওশন এরশাদ। জাপার নেতারা তাঁর নেতৃত্বে ২০১৪ সালে একটি বিনাভোটের সরকার প্রতিষ্ঠা করতে সহায়তা করেছিলো। এদেশে গণতন্ত্র হরণকারী হিসাবে জাতীয় পার্টির নাম মীরজাফরের সাথে একসাথে উচ্চারিত।
এ সময় আরও বক্তব্য দেন এনডিএম এর সাংগঠনিক সম্পাদক লায়ন নুরুজ্জামান হীরা, বিভাগীয় সম্পাদক মো. শাহাদাত হোসেন, যুগ্ম সাংগঠনিক সম্পাদক জাবেদুর রহমান জনিসহ কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ এবং যুব আন্দোলন এবং ছাত্র আন্দোলনের শীর্ষ নেতৃবৃন্দ।
(ঢাকাটাইমস/১৫সেপ্টেম্বর/জেবি/কেএম)