আবু নাসের হাসপাতাল: চলমান উন্নয়নে বদলেছে সেবার ধরন

প্রকাশ | ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ২০:৫৯

শেখ ফেরদৌস, খুলনা ব্যুরো

খুলনার শহীদ শেখ আবু নাসের হাসপাতালে চলছে উন্নয়নমূলক কাজ আর এতে করে বদলে যাচ্ছে সেবার ধরন। এছাড়াও আগের মতো রোগীদের হাসপাতালটিতে ভর্তি জন্য করতে হয় না কোনও তদবির। একসময় এই হাসপাতালটিতে রোগী ভর্তির জন্য রাজনৈতিক, প্রভাবশালী ও আমলাদের করতে হত তদবির।

বর্তমানে শহীদ শেখ আবু নাসের হাসপাতালটির পরিচালক ডা. শেখ আবু শাহীনের কঠোর হস্তক্ষেপে বদলে গেছে চিত্র। পাশাপাশি বেড়েছে সেবার মান ও ধরন। বর্তমানে নিজেই সব বিভাগের ভর্তি রোগীদের জন্য শয্যা নির্ধারণ করেন। সৎ, সাহসী ও কর্মনিষ্ঠাবান এই পরিচালক তদবির ছাড়াই সব কাজ সম্পাদন করেন। তবে এক্ষেত্রে মাঝেমধ্যে বিভিন্ন প্রভাবশালী মহলের সঙ্গে বাকবিতন্ডা তৈরি হলেও সততার সাথে তিনি কাজ করতে ভালবাসেন বলে মনে করছেন স্থানীয় বসিন্দারা।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, হাসপাতালটিতে চলছে উন্নয়নমূলক কাজ। জরাজীর্ণ রোগীদের শয্যাগুলো আরও আধুনিকায়ন করা হচ্ছে। পাশাপাশি রোগীদের হাসপাতালের নষ্ট টয়লেটগুলো মেরামত করা হচ্ছে। এছাড়াও হাসপাতাল চত্বরটির মসজিদে আগত মহিলা রোগীর স্বজনদের নামাজ পড়ার স্থান আলাদাভাবে নির্ধারণ করা হচ্ছে।

হাসপাতালটিতে ইতোমধ্যে ডায়ালাইসিস বিভাগে এ্যরো রুম চালু করা হয়েছে। রোগীদের জন্য সুপেয় পানির ব্যবস্থা করা হয়েছে, ভর্তি রোগীদের কেবিনে আরও জায়গা বৃদ্ধি করাও সৌন্দর্যবর্ধন করা হয়েছে। হাসপাতাল চত্বরে যত্রতত্র গাড়ি রাখায় সমস্যা সৃষ্টির জন্য একটি গ্যারেজ রুম নির্ধারণ করা হয়েছে।

এ বিষয়ে কথা হয় হাসপাতালটিতে ভর্তি রোগীর স্বজন মো. আব্দুল গফ্ফারের সঙ্গে তিনি বলেন, আমার বাবা ব্রেইনস্ট্রোক করে জ্ঞানহীন হয়ে পড়ে। এ অবস্থায় খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাই। তবে অবস্থা আশঙ্কাজনক থাকায় হাসপাতালে দায়িত্বরত চিকিৎসক আমাকে বলেন ব্রেইনের ভালো চিকিৎসা হয় শহীদ শেখ আবু নাসের হাসপাতালে। তবে যেদিন সিরিয়াল দিয়েছি আমি তার একদিন পর হাসপাতালটিতে ভর্তি করতে পেরেছি আমার বাবাকে। ভর্তির আগে শুনেছিলাম আবু নাসের হাসপাতালে ভর্তিরোগীদের জন্য শয্যা পেতে হলে প্রভাবশালী মহলের সুপারিশ দরকার। তবে আমি কোন তদবির করিনি। এমনিতে সিট পেয়েছি।

এ বিষয়ে শহীদ শেখ আবু নাসের হাসপাতালে পরিচালক ডা. শেখ আবু শাহীন বলেন, বর্তমান সরকারে উন্নয়নের ধারাবাহিকতায় হাসপাতালটিতে সকল কার্যক্রম চলছে। হাসপাতালটির উন্নয়নে সকলে সহযোগিতা প্রয়োজন। তবে হাসপাতালটিতে ভর্তি রোগীদের জন্য শয্যাসংখ্যা কম আর ভর্তি সিরিয়াল থাকে বেশি। অনেকে ভর্তি হতে পারে না এতে করে তারা মন খারাপ থাকে। এজন্য তারা প্রভাবশালী মহলের কাছে যেয়ে সুপারিশ করে। অনেক সময়ে সুপারিশ রাখা হয় তবে, রোগীর শারীরিক অবস্থা বুঝে। যে কারণে প্রতিদিন রোগীদের একটি জটলা তৈরি হচ্ছে। হাসপাতালটিতে আরও শয্যাসংখ্যা বৃদ্ধি করণে কার্যক্রম চলমান আছে।

(ঢাকাটাইমস/১৭ সেপ্টেম্বর/ইএইচ)