শিখ নেতার মৃত্যুতে ‘ভূমিকা’: কানাডার অভিযোগ ‘দৃঢ়ভাবে প্রত্যাখ্যান’ ভারতের

প্রকাশ | ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১১:৪৭ | আপডেট: ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১২:১৯

আন্তর্জাতিক ডেস্ক, ঢাকা টাইমস

কানাডিয়ান শিখ নেতা হরদীপ সিং নিজ্জার মৃত্যুতে ভূমিকা থাকার অভিযোগ দৃঢ়ভাবে প্রত্যাখ্যান করেছে ভারত। 

১৮ জুন ব্রিটিশ কলাম্বিয়ায় একটি শিখ মন্দিরের বাইরে গুলি করে হত্যা করা হয় হারদীপ সিংকে।

কানাডার প্রসিডেন্ট জাস্টিন ট্রুডো বলেছেন, কানাডিয়ান গোয়েন্দারা তার মৃত্যু এবং ভারতীয় রাষ্ট্রের মধ্যে একটি বিশ্বাসযোগ্য যোগসূত্র সনাক্ত করেছে।

ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এই দাবিকে অযৌক্তিক এবং রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে বর্ণনা করেছে।

মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে বলেছে, আমরা আইনের শাসনের প্রতি দৃঢ় প্রতিশ্রুতিসহ একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র। 

ঘটনাটি দুই দেশের মধ্যে ইতিমধ্যেই উত্তেজনাপূর্ণ সম্পর্কের সর্বশেষে পৌঁছেছে।

মঙ্গলবার হোয়াইট হাউস বলেছে, তারা ট্রুডোর অভিযোগ সম্পর্কে গভীরভাবে উদ্বিগ্ন।

হোয়াইট হাউস ন্যাশনাল সিকিউরিটি কাউন্সিলের মুখপাত্র অ্যাড্রিয়েন ওয়াটসন বলেছেন, আমরা আমাদের কানাডিয়ান অংশীদারদের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখছি। কানাডার তদন্ত এগিয়ে যাওয়া এবং অপরাধীদের বিচারের আওতায় আনা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

আরও পড়ুন>> শিখ নেতা হরদীপ হত্যায় ভারত সরকারের হাত থাকতে পারে: ট্রুডো

ট্রুডো সোমবার পার্লামেন্টে বলেছেন যে তিনি দিল্লিতে সাম্প্রতিক জি২০ সম্মেলনে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির কাছে নাজ্জারের হত্যার বিষয়টি উত্থাপন করেছিলেন। 
ট্রুডো আইন প্রণেতাদের বলেন, কানাডার মাটিতে একজন কানাডিয়ান নাগরিকের হত্যাকাণ্ডে বিদেশি সরকারের যে কোনো সম্পৃক্ততা আমাদের সার্বভৌমত্বের অগ্রহণযোগ্য লঙ্ঘন। এটি মৌলিক নিয়মের পরিপন্থি যার দ্বারা মুক্ত, উন্মুক্ত এবং গণতান্ত্রিক সমাজ নিজেদের পরিচালনা করে।

ভারত এর আগে নিজ্জার হত্যার সাথে জড়িত থাকার কথা অস্বীকার করেছে।

মঙ্গলবার ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে যে তারা ট্রুডোর দাবি সম্পূর্ণ প্রত্যাখ্যান করেছে।

কানাডায় যে কোনো সহিংসতায় ভারত সরকারের জড়িত থাকার অভিযোগ অযৌক্তিক এবং উদ্দেশ্যপ্রণোদিত- বলছে মন্ত্রণালয়। 

কানাডার প্রধানমন্ত্রী আমাদের প্রধানমন্ত্রীর কাছে একই ধরনের অভিযোগ করেছেন এবং সম্পূর্ণ প্রত্যাখ্যান করেছেন।

বিবৃতিতে বলা হয়েছে যে কানাডা দীর্ঘদিন ধরে খালিস্তানি সন্ত্রাসবাদী এবং চরমপন্থিদের আশ্রয় দিয়েছিল যারা ভারতের নিরাপত্তার জন্য হুমকিস্বরূপ।

মন্ত্রণালয় বলেছে, আমরা কানাডা সরকারকে তাদের মাটি থেকে পরিচালিত সমস্ত ভারত-বিরোধী কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে দ্রুত এবং কার্যকর আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য অনুরোধ করছি।

সোমবার কানাডার পররাষ্ট্রমন্ত্রী মেলানি জোলি সাংবাদিকদের বলেন, এই মামলায় একজন ভারতীয় কূটনীতিক পবন কুমার রাইকে বহিষ্কার করা হয়েছে। সূত্র: বিবিসি।

(ঢাকাটাইমস/১৯সেপ্টেম্বর/এফএ)