আন্দোলনের নামে নির্বাচনকে বাধাগ্রস্ত করলে কঠোরভাবে দমন: হানিফ
প্রকাশ | ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১৪:২২

আন্দোলনের নামে কেউ নির্বাচন বাধাগ্রস্ত করতে চাইলে তা কঠোর হস্তে দমন করা হবে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ। তিনি বলেন, ‘দেশের সাংবিধানিক ধারাবাহিকতা নষ্ট করার জন্য কেউ কোনো অশুভ তৎপরতা করলে অতীতের মতো ভবিষ্যতেও প্রতিহত করা হবে।’
মঙ্গলবার ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে দলটির সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য, ঢাকা মহানগর উত্তর-দক্ষিণ আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনসমূহের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকদের সঙ্গে যৌথসভা শেষে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।
হানিফ বলেন, ‘বিএনপি নির্বাচনে আসবে কি আসবে না এটা তাদের বিষয়। এদেশের জনগণ শান্তি চায়, উন্নয়ন-অগ্রগতি চায়। এ দেশের জনগণ সাংবিধানের ধারাবাহিকতা দেখতে চায়, সন্ত্রাসীদের দেখতে চায় না। এই দেশে সাংবিধানিক ধারাবাহিকতা নষ্ট করার জন্য যেকোনো অশুভ তৎপরতা অতীতে যেমন জনগণ নস্যাৎ করে দিয়েছে ভবিষ্যতেও নস্যাৎ করে দেবে।’
তিনি বলেন, ‘আমরা চাই সব দলের অংশগ্রহণে নির্বাচন। আমরা আশা করি বিএনপিসহ সব রাজনৈতিক দল নির্বাচনে অংশ নিক। যদি কেউ না চায়, তাহলে নির্বাচনে অংশ না নেয়ার অধিকার তাদের আছে। কিন্তু আন্দোলনের নাম করে যদি কেউ নির্বাচন বাধাগ্রস্ত করতে চায় সেটা জনগণ এবং সরকার কঠোর হস্তে দমন করবে।’
চলতি মাসে ঢাকায় বিএনপির ৮টি সমাবেশ কর্মসূচি রয়েছে। আওয়ামী লীগ পাল্টা কর্মসূচি দিচ্ছে কি না- এমন প্রশ্নের জবাবে হানিফ বলেন, ‘আমরা আগেও বলেছি আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে আমাদের ধারাবাহিক কর্মসূচি থাকবে। আমাদের প্রতিটি কর্মসূচি জাতীয় সংসদ নির্বাচনকেন্দ্রিক। এসব কর্মসূচির মধ্য দিয়ে মাঠ পর্যায়ের কর্মীদের সঙ্গে জনগণের সম্পর্ক বৃদ্ধি করা, জনগণের আস্থা বৃদ্ধি করা আমাদের লক্ষ্য।’
‘আওয়ামী লীগ গণতান্ত্রিক দল, জনগণের দল’ বলে উল্লেখ করে হানিফ বলেন, ‘এই দেশের প্রত্যেকটা জনগণের রাজনীতি করার অধিকার আছে। গণতান্ত্রিক পরিবেশ আছে বলেই যে কোনো রাজনৈতিক দল কর্মসূচি পালন করতে পারছে। আওয়ামী লীগের কিছু করার বা বলার নেই।’
ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সদস্য আদম তমিজি হকের বহিষ্কার বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ একটি বিশাল দল। এই দলে লক্ষ কোটি নেতাকর্মী আছে এবং এই দলের ভিতরে কারো বিরুদ্ধে শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগ উঠলে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেয়া হয়। ইতিমধ্যে তার ব্যাপারে মহানগর আওয়ামী লীগ সিদ্ধান্ত নিয়েছে।’
এসময় আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক, ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হক, আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন, মির্জা আজম, এস এম কামাল হোসেন, আফজাল হোসেন, সুজিত রায় নন্দি, দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক মৃণাল কান্তি দাস, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক আবদুস সবুর উপস্থিত ছিলেন।
ঢাকাটাইমস/১৯সেপ্টেম্বর/জেএ/এফএ)