আইডিয়াল ছাত্রীকে ধর্ষণের মামলায় নিম্ন আদালতে জামিন পেলেন মুশতাক

প্রকাশ | ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১৫:০৭

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা টাইমস

রাজধানীর মতিঝিল আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের ছাত্রীকে ধর্ষণের মামলায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটির গভর্নিং বডির দাতা সদস্য খন্দকার মুশতাক আহমেদ আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন পেয়েছেন।

মঙ্গলবার ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনাল-৮ এর বিচারক বেগম মাফরোজা পারভীনের আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করেন মুশতাক। শুনানি শেষে বিচারক ৫০ হাজার টাকা মুচলেকায় তার জামিন মঞ্জুর করেন।

এ সময় আদালতে ৭০ বছর বয়সী মুশতাক আহমেদ ও ১৮ বছর বয়সী কলেজ শিক্ষার্থী উপস্থিত ছিলেন।

মামলায় গত ৪ জুলাই হাইকোর্টের বিচারপতি খোন্দকার দিলীরুজ্জামান ও বিচারপতি মো. আমিনুল ইসলামের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ ছয় সপ্তাহের আগাম জামিন মঞ্জুর করেন। আজ উচ্চ আদালতের জামিনের মেয়াদ শেষ হওয়ায় আত্মসমর্পণ করেন মুশতাক। 

গত ১ আগস্ট ছাত্রীর বাবা মো. সাইফুল ইসলাম প্রলোভন ও জোরপূর্বক ধর্ষণের অভিযোগে ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের-৮ বিচারক বেগম মাফরোজা পারভীনের আদালতে মামলা করেন।

আদালত বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ করে গুলশান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) অভিযোগটি এজাহার হিসেবে গণ্য করে নিয়মিত মামলা হিসেবে গ্রহণের আদেশ দেন। এরপর গুলশান থানা মামলাটি এজহার হিসেবে নেয়।

মামলার এজাহারে বাদী উল্লেখ করেন, তার মেয়ে (ভুক্তভোগী) মতিঝিল আইডিয়ালের একাদশ শ্রেণির ছাত্রী। আসামি মুশতাক বিভিন্ন অজুহাতে কলেজে আসতেন এবং ভুক্তভোগীকে ক্লাস থেকে অধ্যক্ষ ফাওজিয়া রাশেদীর কক্ষে ডেকে নিতেন। পরে খোঁজ-খবর নেওয়ার নামে ওই ভুক্তভোগীকে বিভিন্নভাবে প্রলোভন দেখিয়ে প্রলুব্ধ করতেন খন্দকার মুশতাক। কিছুদিন পর আসামি ওই ভুক্তভোগীকে তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে কুপ্রস্তাব দেন। এতে রাজি না হওয়ায় ভুক্তভোগীকে তুলে নিয়ে গিয়ে জোরপূর্বক বিয়ে এবং তাকে ও তার পরিবারকে ঢাকা ছাড়া করবে বলে হুমকি দেন।

খন্দকার মুশতাকের এমন আচরণের বিষয়ে কলেজের অধ্যক্ষকে ব্যবস্থা নেওয়ার অনুরোধ করেন ভুক্তভোগী। কিন্তু অধ্যক্ষ ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বললেও আসামি মুশতাককে তার রুমে নিয়ে আসেন এবং ভুক্তভোগীকেও ক্লাস থেকে নিয়ে এসে রুমের দরজা বন্ধ করে দিয়ে আসামিকে সময় ও সঙ্গ দিতে বলেন।

মামলার বাদীর অভিযোগ, অধ্যক্ষ ফাওজিয়া রাশেদীর কাছে প্রতিকার চাইতে গেলেও কোনো সহযোগিতা করেননি বরং আসামি মুশতাককে অনৈতিক সাহায্য করে আসতে থাকেন। বাদী অভিযোগ করেন, গত ১২ জুন ঠাকুরগাঁওয়ের বাড়িতে আসামি মুশতাক তার লোকজন দিয়ে ভুক্তভোগীকে অপহরণ করে নিয়ে যান। এরপর বাদী জানতে পারেন আসামি ভুক্তভোগীকে একেক দিন একেক স্থানে রেখে অনৈতিক কাজে বাধ্য করেছেন এবং যৌন নিপীড়ন করছেন।

(ঢাকাটাইমস/১৯সেপ্টেম্বর/এফএ)