পূবাইল থানায় ঘুষ বাণিজ্য এবার কনস্টেবল শরিফ প্রত্যাহার
প্রকাশ | ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১০:২২
গাজীপুর মহানগরের পূবাইল মেট্রোপলিটন থানায় ঘুষ বাণিজ্যে এবার প্রত্যাহার হলেন কনস্টেবল মো. শরিফ মিয়া।
কনস্টেবল শরিফ মিয়া গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ (জিএমপি) যানবাহন শাখার অধীনে পূবাইল থানার ওসির গাড়িচালক হিসেবে দীর্ঘদিন কর্মরত ছিলেন। তাকে হেডকোয়ার্টার পুলিশ লাইনে সংযুক্ত করা হয়েছে। একই মাসের ১৪ তারিখে ৯৫ হাজার টাকা ঘুষ বাণিজ্যের জন্য পূবাইল থানার এ এস আই গোলাম সারোয়ার ও কনস্টেবল আকরাম প্রত্যাহার হলে ব্যাপক চাঞ্চল্যে ও তোলপাড় সৃষ্টি হয়। এ নিয়ে ৭ দিনের ব্যবধানে ঘুষ বাণিজ্যে তিন পুলিশ সদস্য প্রত্যাহার হলেন পূবাইল থানা থেকে।
প্রত্যাহারের সত্যতা নিশ্চিত করেন সহকারী পুলিশ কমিশনার জিএমপি (গাছা জোন) মাকসুদুর রহমান।
বৃহস্পতিবার বিকালে জিএমপি উপ-পুলিশ কমিশনার (হেডকোয়ার্টার অ্যাণ্ড ফিন্যান্স) মোহাম্মদ ইলতুৎ মিশের স্বাক্ষরিত এক আদেশে কনস্টেবল শরিফ মিয়াকে প্রত্যাহার করা হয়।
জানা যায়, ১ সেপ্টেম্বর জাঝর এলাকার অটোচালক বাবুলের নিকট থেকে মাত্র পাঁচ হাজার টাকা ঘুষ নিয়ে থানায় ৭ দিন অটো আটকে রাখা হয়।
অটোচালক বাবুল জানান, পূবাইল থানার পাশের সড়কে একটি শিশু বাচ্চা আমার অটোর নিচে পরে আহত হয়। মারপিট ও অটো ভাঙচুরের ভয়ে থানায় অটোসহ আশ্রয় নেই। কিন্ত থানার বাইরে আহতের অভিভাবকের সঙ্গে আমার মীমাংসা হয় ২৫ হাজার টাকার বিনিময়ে। স্থানীয় অনেকের সুপারিশ ও অটো চালক কান্নাকাটি করলেও ছাড়া পায়নি অটো। কিন্তু ছয়দিন পর শুক্রবার ওসির চালক শরিফ ডেকে আনে। পরে নগদ তিন হাজার টাকা দিলে অটো না ছাড়লে বিকাশে ইছালির সাইফুলের সামনে দুই হাজার এনে দিলে ছাড়া পায় অটো।
পরে অটোচালক সাংবাদিকদের জানালে ঘুষ বাণিজ্যের কথা জানাজানি হয়ে যায়। ফলে পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা চালক শরিফকে প্রত্যাহারের আদেশ দেন।
(ঢাকা টাইমস/২২সেপ্টেম্বর/প্রতিনিধি/এসএ)