যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা নিষেধাজ্ঞায় ‘চাপ’ দেখছে না আওয়ামী লীগ
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ভিসানীতি নিয়ে আওয়ামী লীগ উদ্বিগ্ন কিংবা আতঙ্কিত নয় বলে জানিয়েছেন দলটির নেতারা। তারা বলেন, বিষয়টি নিয়ে আওয়ামী লীগ কোনো ধরনের চাপ অনুভব করছে না। যারা নির্বাচনে বাধা দিতে চায়, প্রতিরোধ করতে চায়, অগ্নিসন্ত্রাস করে মানুষ পুড়িয়ে মারতে চায় তাদের জন্যই যুক্তরাষ্ট্রের ভিসানীতি।
এ বিষয় নিয়ে আওয়ামী লীগের দুজন সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য, একজন যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও একজন সম্পাদকের সঙ্গে ঢাকাটাইমসের কথা হয়। নাম প্রকাশ না করার শর্তে এসব নেতা বলেন, আওয়ামী লীগ দেশের জনগণের উপর নির্ভরশীল দল, কোন দেশ কি দিলো আর কি করলো তা নিয়ে আওয়ামী লীগ ভাবে না, বাংলাদেশ আমাদের স্বাধীন মাতৃভূমি। আমেরিকার ভিসা নীতি নিয়ে আওয়ামী আতঙ্কিত না। এসব নিয়ে আওয়ামী লীগ ভাবছে না, আওয়ামী লীগ নির্বাচন নিয়ে ভাবছে। আওয়ামী লীগ আগেও বলছে সুষ্ঠু নির্বাচনের কথা, এখনও আমরা সুষ্ঠু নির্বাচনের পক্ষে।
আওয়ামী লীগ নেতারা বলেন, নির্বাচন বিতর্কিত হয় যখন কেউ নির্বাচনে বাধা দেয়, সন্ত্রাস করে, নৈরাজ্য করে। যারা বাংলাদেশের সুষ্ঠ নির্বাচন চায়, ভালো নির্বাচন চায়, তাদের জন্য ভিসা নীতি কোনো আতঙ্কের বিষয় নয়। আওয়ামী লীগ এই বিষয়টিতে আতঙ্কিত নয়।
আওয়ামী লীগের আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক ড. শাম্মি আহমদ ঢাকাটাইমসকে বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা নীতি নিয়ে আমাদের আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। তারা ভিসা নীতি প্রয়োগ শুরু করেছে। কিন্তু কী কারণ সেটা তারা জানে। তবে আমাদের সরকার আগে থেকে বলে আসছে আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন হবে অবাধ সুষ্ঠু নিরপেক্ষ গ্রহণযোগ্য নির্বাচন। তারপরও তারা মনে করলে দুর্নীতি নিয়ে বা অবৈধ সম্পদ অর্জনের কারণে ভিসানীতি দেবে। কিন্তু সেটা বলে দিতে পারে, যে সব ব্যক্তি দুর্নীতি করে সম্পদ অর্জন করেছে তাদের উপর ভিসানীতি দেবে। তাছাড়া যারা দুর্নীতি করে তাদের দেশে (আমেরিকায়) সম্পদ জমিয়েছে সেই সম্পদ দেশে পাঠিয়ে দিক।
শাম্মি আহমদ বলেন, আমাদের দেশের নির্বাচন নিয়ে যদি তারা মনে করে তারা মোড়ল, সেটা দেখাবে। কিন্তু কেন তারা বলছে সুষ্ঠু নির্বাচনের কথা। আমাদের প্রধানমন্ত্রীও বলছেন সুষ্ঠু নির্বাচন করবে। তারপরও তারা ভিসানীতি প্রয়োগ করছে।
শুক্রবার (২২ সেপ্টেম্বর) থেকে প্রায় চার মাস আগের ঘোষিত ভিসা নীতি কার্যকর করার প্রক্রিয়া শুরু করেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। গতকাল যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক নির্বাচন প্রক্রিয়াকে ক্ষুণ্ন করার জন্য দায়ী বা জড়িত বাংলাদেশি ব্যক্তিদের ওপর ভিসা বিধিনিষেধ প্রয়োগের পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে। এর আওতায় ক্ষমতাসীন দল, প্রশাসন, বিরোধী দলের ব্যক্তি ও তাদের পরিবার আছে।
(ঢাকাটাইমস/২৩সেপ্টেম্বর/জেএ/কেএম)