১৪ ও ১৮ মার্কা নির্বাচন জনগণ মানবে না: যুবদল সভাপতি

প্রকাশ | ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১৫:৩৪ | আপডেট: ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১৬:২২

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা টাইমস

দেশের মানুষ ২০১৪ বা ১৮ সালের মতো নির্বাচন এবার মানবে না বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী যুবদল সভাপতি সুলতান সালাউদ্দিন টুকু। বলেন, ‘আওয়ামী লীগ সরকার আবারো দেশে ১৪ ও ১৮ সালের নির্বাচনের মতো নিশিরাতে ভোট ডাকাতি করতে চায়। তবে এদেশের জনগণ তা মানবে না।’

মঙ্গলবার ঝিনাইদহে সরকারের পদত্যাগ ও সংসদ বিলুপ্ত করে নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন, বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির লক্ষ্যে ১ দফা দাবি আদায়ে ঝিনাইদহ-মাগুরা-যশোর-খুলনা রোডমার্চের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

টুকু বলেন, ‘এই সরকার ভোট চুরি করতে চায়। ১৪ সালে নির্বাচন হয়েছে ভোটকেন্দ্রে কুত্তা বসে ছিল। এজন্য সবাই বলে ১৪ সালে কুত্তামার্কা নির্বাচন হয়েছে। ১৮ সালে যে নির্বাচন নিশিরাতে ভোট চুরি করেছে, সেজন্য নিশিরাতের অবৈধ সরকার বলা হয়। এবারও নির্বাচনে ভোট ডাকাতি করতে চায়, সেজন্য দেশে-বিদেশে তদবির করে বেড়াচ্ছে। আমাদের সবাইকে রাজপথে ঐক্যবদ্ধ হয়ে এই ভোটডাকাত সরকাকে প্রতিরোধ করতে হবে।’

তিনি বলেন, ‘এই সরকার আমাদের ভোটের অধিকার হরণ করেছে। সেই জন্য আন্দোলনের মধ্য দিয়ে এ সরকারকে পরাজিত করতে হবে। একটা নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন ব্যবস্থা করতে হবে।’

যুবদল সভাপতি আরও বলেন, ‘ভোটের অধিকার পুনঃপ্রতিষ্ঠা করতে, নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন অনুষ্ঠিত করতে একদফার আন্দোলন চলছে। তারেক রহমানের নেতৃত্বে গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে এই সরকারের পতন ঘটিয়ে মানুষের ভোটের অধিকার ফিরিয়ে আনা হবে।’

ঝিনাইদহ জেলা বিএনপির সভাপতি অ্যাড এম এ মজিদের সভাপতিত্বে ও ঝিনাইদহ জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক জাহিদুজ্জামান মনার সঞ্চালনায় পথসভায় উপস্থিত ছিলেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু, অ্যাডভোকেট নিতাই রায় চৌধুরী, চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা সৈয়দ মেহদী আহম্মেদ রুমী, ভারপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক (খুলনা) অনিন্দ্য ইসলাম অমিত, স্থানীয় সরকার বিষয়ক সম্পাদক অধ্যক্ষ সোহরাব উদ্দীন, তথ্য বিষয়ক সম্পাদক আজিজুল বারী হেলাল, ছাত্র বিষয়ক সম্পাদক রকিবুল ইসলাম বকুল, মানবাধিকার বিষয়ক সম্পাদক এ্যাড আসাদুজ্জামান ও সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক জয়ন্ত কুমার কুন্ডু, কেন্দ্রীয় যুবদলের সহ-সভাপতি নুরুল ইসলাম নয়ন, সহ-সাধারণ সম্পাদক  এম কামরুজ্জামান, তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক শফিকুল ইসলাম, সহ-প্রচার সম্পাদক আশরাফুল আলম ফকির লিংকন, সহ গ্রাম সরকার সম্পাদক মহিউদ্দীন রাজুসহ শতাধিক কেন্দ্রীয় নেতা উপস্থিত ছিলেন।

(ঢাকাটাইমস/২৬সেপ্টেম্বর/জেবি/ডিএম)