দেবিদ্বারে স্ত্রীর স্বীকৃতির দাবিতে তরুণীর অনশন

প্রকাশ | ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০০:২৫ | আপডেট: ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১১:২৫

দেবিদ্বার (কুমিল্লা) প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস

কুমিল্লার দেবিদ্বারে ইমরান হোসেন নামের এক যুবকের বাড়িতে স্ত্রীর স্বীকৃতির দাবিতে অনশনে বসেছেন নেত্রকোনার তরুণী লিমা আক্তার মৌ।

মঙ্গলবার দুপুরে উপজেলার পৌর ৩নং ওয়ার্ড ফতেহাবাদ পশ্চিম চান্দারপার গ্রামের আ.লীগ নেত্রী কামরুন্নাহার শিল্পী বেগমের ছেলে ইমরান হোসেনের স্ত্রীর মর্যাদার দাবি নিয়ে সেখানে অবস্থান নেন লিমা আক্তার মৌ নামের এই তরুণী।

অবস্থান নেয়া তরুণী লিমা জানান, তার গ্রামের বাড়ি নেত্রকোনায়। সে তার বোনের সঙ্গে ঢাকার রামপুরা এলাকায় একটি ভাড়া বাসায় বসবাস করেন। সে গ্লোবাল এজেন্সিতে চাকরি নেয়ার পর পরিচয় হয় দেবিদ্বারের ছেলে ইমরানের সঙ্গে। এ সময় তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। পরবর্তীতে ইমরান বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে তাকে নিয়ে আলাদা বাসায় স্বামী-স্ত্রী পরিচয়ে প্রায় ৪ মাস বসবাস করেছেন। এ সময় ইমরানের সন্তান তার গর্ভে এলে গর্ভপাত করানো হয়েছে বলেও জানায় ভুক্তভোগী এই তরুণী।

তিনি আরও জানান, সম্প্রতি ইমরান তার মোবাইল নাম্বার ব্লক করেছে এবং তার সঙ্গে সবধরনের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করেছে। পরে সে ইমরানের মাকে ফোনে বিষয়টি জানায়। ইমরানের মা তার কথার কোনো গুরুত্ব না দেয়ায় আজ সে স্ত্রীর মর্যাদার দাবিতে অবস্থান নিতে বাধ্য হয়েছে।

ভুক্তভোগী আরও জানায়, এই বাড়িতে অবস্থান নিতে এলে ইমরানের মা ও বাড়ির অনেক মহিলারা মিলে তাকে মারধর করেছে এবং তার মোবাইল ছিনিয়ে নেয়, পরবর্তীতে লোকজনের কথায় মোবাইল ফেরত দেয়।

এ বিষয়ে অভিযুক্ত যুবকের মা কামরুন্নাহার শিল্পী বলেন, ছেলের সাথে আমার কথা হয় না অনেকদিন। মেয়ে বলছে আমার ছেলের সাথে সে ৪ মাস সংসার করেছে একসাথে। বিয়ে ছাড়া কি করে একসাথে সংসার করে? আমাকে সামাজিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন করতে এটি একটি চক্রান্ত হতে পারে।

এ বিষয়ে প্রেমিক ইমরান হোসেনের মোবাইলে ফোন করে বারবার চেষ্টা করেও যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।

পৌর ৩নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর নাঈমুল ইসলাম সুমন বলেন, পৌরসভায় আমরা যখন মিটিং করছিলাম তখন মৌখিকভাবে সে বিষয়টি বলে চলে আসে এবং নিরাপত্তা চেয়ে পৌরসভায় একটি লিখিত অভিযোগ জমা দিয়েছে বলে জানতে পেরেছি। আগামীকাল অফিসে গেলে চিঠি হাতে পেয়ে বিস্তারিত জানতে পারবো।

দেবিদ্বার থানার ওসি কমল কৃষ্ণ ধর মঙ্গলবার রাতে জানান, স্থানীয় কাউন্সিলর নিজ দায়িত্বে বিষয়টি নিষ্পত্তি করবেন, তাই তারা তরুণীকে বাড়িতে পাঠিয়েছেন। আমরা কোনো অভিযোগ পাইনি বলে এ বিষয়ে কোনো ব্যাবস্থা গ্রহণ করতে পারিনি।

(ঢাকাটাইমস/২৭ সেপ্টেম্বর/ইএইচ)