পুলিশ সার্জেন্টকে মারধরের অভিযোগে কারাগারে জনতা ব্যাংকের ডিএমডির স্ত্রী-মেয়ে

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা টাইমস
 | প্রকাশিত : ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০০:০৬

রাস্তায় অবৈধভাবে গাড়ি পাকিং করার অভিযোগে মামলা দেওয়ার কারণে পুলিশসার্জেন্ট হাসিনা খাতুনকে মারধোর করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় হাসিনার করা মামলায় গাড়ির মালিক জনতা ব্যাংকের উপব্যবস্থাপনা পরিচালক (ডিএমডি) মফিজুল ইসলামের স্ত্রী ও মেয়েকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় রাজধানীর মোহাম্মদপুর শিয়া মসজিদ এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

বুধবার বিকালে মোহাম্মদপুর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) সুজিত কুমার সাহা গণমাধ্যমকর্মীদের বলেন, সার্জেন্ট হাসিনা হামলার অভিযোগ এনে মোহাম্মদপুর থানায় একটি মামলা করেছেন। সেই মামলায় বুধবার মা ও মেয়ে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

এই পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, শিয়া মসজিদ এলাকায় এপেক্সের শোরুমের সামনে চালক প্রাইভেটকার অবৈধভাবে পাকিং করেন। পরে সার্জেন্ট হাসিনা গাড়িতে পাঁচ হাজার টাকা মামলা দেয়। চালক দিলারাকে ফোনে বিষয়টি জানালে তিনি বাসা থেকে এসে দায়িত্বরত পুলিশ কর্মকর্তার সঙ্গে বাজে ব্যবহার করেন। এক পর্যায়ে তার গায়ে হাত তোলেন। পরে ট্রাফিক পুলিশের সদস্যরা এসে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার চেষ্টা করলে, তাদের সঙ্গেও বাজে ব্যবহার করেন দিলারা। এক পর্যায়ে থানা থেকে পুলিশ গিয়ে তাদের আটক করে। পরে সার্জেন্টের মামলায় তাদের কারাগারে পাঠানো হয়।

মামলার এজাহারে হাসিনা খাতুন উল্লেখ করেন, মোহাম্মদপুর শিয়া মসজিদ ক্রসিং টেঙ্গো-১৪১ জলসাইনে ডিউটিতে ছিলেন। বিকাল অবৈধ পার্কিং করার কারণে সড়ক পরিবহন আইন ২০১৮ এর ৮৭ ধারা অনুযায়ী প্রতিবন্ধকতার মামলা করি। পরে গাড়ির মালিক দিলারা আমার কাছে এসে গাড়িতে ৫ হাজার টাকার মামলা দিয়েছি কেন জিজ্ঞাসা করেন। আমি তাকে ভিডিও দেখিয়ে বুঝিয়ে বলার পরেও তিনি আমাকে অকথ্য গালিগালাজ করেন। পরে বিভিন্ন হুমকি নিয়ে বক্স হতে বেরিয়ে যান। পরে সন্ধ্যা ৬টার দিকে দিলারা তার মেয়ে তাসফিয়াসহ পুলিশ বক্সের বাহিরে এসে আমাকে তুই-তোকারি করেন। আমার কাছে ভিডিও দেখতে চান। আমি ভিডিও বের করার সময় আমাকে এলোপাতাড়ি কিল, ঘুষি ও থাপ্পড় মারতে শুরু করেন তারা।

কর্তব্যরত পুলিশের ওপর আক্রমণ করার কারণে আমি তাদের আটক করতে ট্রাফিক পুলিশ সদস্য মো. মোতালেব ও মো. জাবেদের সহায়তা চাই। পরে তাদের সহায়তায় মা-মেয়েকে আটক করে বক্সের ভেতরে নিয়ে আসার চেষ্টা করি। এ সময় বডি অন ক্যামেরা আমার কাছ থেকে নিয়ে রাস্তার ওপর ছুড়ে ফেলে দেয়। ঘটনার বিষয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে মামলা করি।

এ ব্যাপাওে গ্রেপ্তার তাসফিয়া ইসলামের বাবা মফিজুল ইসলাম গণমাধ্যমকর্মীদের বলেন, আমার বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ুয়া মেয়ে তাসফিয়া ইসলাম এপেক্সের ওই ভবনে একটি জিমে জিম করে। প্রতিদিনের মতো গতকালও সেখানে যায়। চালক গাড়ি স্লো করে আমার মেয়ে নামিয়ে দিয়ে চলে আসছিল। এরমধ্যে ওই সার্জেন্ট গাড়ি থামিয়ে মামলা দিয়ে দেয়। বিষয়টি চালক সঙ্গে সঙ্গে স্ত্রী দিলারাকে জানালে নবোদয় হাউজিং থেকে গিয়ে বিষয়টি জানতে চায়।

তিনি বলেন, পরে আমার মেয়েও জিম থেকে নেমে এসে জানতে চায় কেন মামলা দেওয়া হলো। পরে কথা কাটাকাটি হয় তাদের মধ্যে। এ সময় আমার মেয়েকে ট্রাফিক বক্সের মধ্যে নিয়ে মারধর করে সার্জেন্ট হাসিনা। এটা দেখে আমার স্ত্রী দিলারা এগিয়ে গেলে তাদের মধ্যে ধস্তাধস্তি হয়। এতে হয় তো তার গায়ে আঁচড় লাগতে পারে। বিষয়টি আমরা মীমাংসা করতে চেষ্টা করি। যে এটা ভুল বোঝাবুঝি হয়েছে।

(ঢাকাটাইমস/২৭সেপ্টেম্বর/এএ)

সংবাদটি শেয়ার করুন

অপরাধ ও দুর্নীতি বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :