নাইজারে হামলায় জান্তার এক ডজন সেনা নিহত
প্রকাশ | ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০৮:৪৯ | আপডেট: ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১২:৪৯
পশ্চিম আফ্রিকার দেশ নাইজারের জান্তা সরকারের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার সকালে দেশটির দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে মোটরবাইকে করে শত শত সশস্ত্র বিদ্রোহীর হামলায় অন্তত এক ডজন নাইজার সৈন্য নিহত হয়েছে। খবর রয়টার্স।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, সাত সৈন্য যুদ্ধে নিহত হয়েছে এবং অন্য পাঁচজন হামলার শিকার ইউনিটকে শক্তিশালী করার জন্য গাড়ি চালানোর সময় দুর্ঘটনায় মারা গেছে।
হামলাটি ঘটেছিল রাজধানী নিয়ামে থেকে প্রায় ১৯০ কিলোমিটার (১১৮ মাইল) দূরে কান্দাদজিতে, মালি, বুরকিনা ফাসো এবং নাইজারের ত্রি-সীমান্ত অঞ্চলের কাছে, যা গত কয়েক বছরে সাহেল অঞ্চলে ইসলামপন্থি বিদ্রোহের কেন্দ্রস্থল।
এর আগে বৃহস্পতিবার মিডিয়ার সঙ্গে কথা বলার জন্য অনুমোদন নেই এমন একজন সিনিয়র সামরিক কর্মকর্তাসহ তিনটি সূত্র নাম প্রকাশ না করার শর্তে রয়টার্সকে বলেছিল যে কমপক্ষে দশজন সেনা নিহত হয়েছে।
সূত্র বা প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় কোন গোষ্ঠী দায়ী তা জানায়নি। আল কায়েদা এবং ইসলামিক স্টেটের স্থানীয় সহযোগীরা এই অঞ্চলে সক্রিয় এবং সৈন্য ও বেসামরিকদের ওপর ঘন ঘন আক্রমণ চালায়।
প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, প্রায় একশত বিদ্রোহী নিহত হয়েছে এবং তাদের মোটরবাইক ও অস্ত্র ধ্বংস করা হয়েছে। এটি আর কোনো বিবরণ দেয়নি।
দুটি নিরাপত্তা সূত্র জানিয়েছে যে সেনাবাহিনী স্থল সেনাদের পাশাপাশি হেলিকপ্টার দিয়ে আক্রমণের জবাব দেয়, যার মধ্যে একটি আঘাতপ্রাপ্ত হয়েছিল কিন্তু ঘাঁটিতে ফিরে আসতে সক্ষম হয়েছিল।
নাইজার সামরিক জান্তা দ্বারা পরিচালিত, যারা জুলাই মাসে একটি অভ্যুত্থানের মাধ্যমে ক্ষমতা দখল করে। প্রতিবেশী মালি এবং বুরকিনা ফাসোতে গত তিন বছরে দুটি করে অভ্যুত্থান হয়েছে।
নিরাপত্তা বিশ্লেষকরা বলছেন যে ক্ষমতাচ্যুত প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ বাজুমের অধীনে নাইজারে হামলার ঘটনা ঘটেছে।
আগস্টের মাঝামাঝি দক্ষিণ-পশ্চিম নাইজারে আরেকটি হামলায় অন্তত ১৭ সেনা নিহত হয়।
ফ্রান্স রবিবার বলেছে যে তারা বছরের শেষের আগে নাইজার থেকে তার ১৫০০ সৈন্য প্রত্যাহার করবে। জান্তা সরকারের পক্ষ থেকে কয়েক সপ্তাহের চাপ এবং সাবেক ঔপনিবেশিক শাসকের বিরুদ্ধে বিক্ষোভের পরে এ সিদ্ধান্ত আসে।
বৃহস্পতিবার কয়েক শতাধিক জান্তা সমর্থক সেনাদের চলে যাওয়ার দাবিতে নিয়ামেতে ফরাসি সামরিক ঘাঁটির সামনে আবার জড়ো হয়েছিল।
(ঢাকাটাইমস/২৯সেপ্টেম্বর/এফএ)