খালেদা জিয়াকে চিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠানোর বিষয়ে আজই মতামত: আইনমন্ত্রী

প্রকাশ | ০১ অক্টোবর ২০২৩, ১২:৩৫ | আপডেট: ০১ অক্টোবর ২০২৩, ১৪:২০

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা টাইমস

বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বিদেশে উন্নত চিকিৎসার বিষয়ে আজকেই মতামত দেবে আইন মন্ত্রণালয়।

রাজধানীর বিচার প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে রবিবার দুপুর ১২টার দিকে সাংবাদিকদের এ সংক্রান্ত এক প্রশ্নের জবাবে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক এ তথ্য জানান।

আইনমন্ত্রী বলেন, ‘আজ মন্ত্রণালয়ে গিয়ে খালেদা জিয়াকে বিদেশে চিকিৎসার জন্য পাঠানো হবে কি না, এ বিষয়ে ফাইল দেখে মতামত দেওয়া হবে।’

তবে আনিসুল হক এ কথাও স্মরণ করিয়ে দিয়েছেন, খালেদা জিয়ার বিদেশে চিকিৎসার ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যে মতামত দিয়েছেন সেটিই আইনের অবস্থান এবং সেটাই সঠিক। অর্থাৎ আইনগতভাবে খালেদা জিয়ার বিদেশ যাওয়ার সুযোগ নেই।

উল্লেখ্য, ভয়েস অব আমেরিকাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, খালেদা জিয়াকে বিদেশে চিকিৎসা নিতে হলে আবার জেলে যেতে হবে। এরপর আদালতে আবেদন করতে হবে। আদালত অনুমতি দিলে তিনি চিকিৎসার জন্য বিদেশে যেতে পারবেন।

খালেদা জিয়ার স্থায়ী মুক্তি ও বিদেশে চিকিৎসার সুযোগ চেয়ে ছোট ভাই শামীম এস্কান্দার গত ২৫ সেপ্টেম্বর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আবেদন করেন। আবেদনটি মতামতের জন্য আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়। এখন আইন মন্ত্রণালয়ের মতামতের ওপর নির্ভর করছে খালেদা জিয়ার বিদেশে যাওয়ার বিষয়টি।

শারীরিকভাবে অসুস্থ খালেদা জিয়াকে গত ৯ আগস্ট রাতে স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য ঢাকার এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এরপর থেকে তিনি ওই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

হার্টের সমস্যা, লিভারসিরোসিস ছাড়াও নানা শারীরিক জটিলতায় ভুগছেন ৭৮ বছর বয়সী খালেদা জিয়া। এছাড়াও আর্থ্রাইটিস, ডায়াবেটিস, দাঁত ও চোখের সমস্যাসহ নানা জটিলতা রয়েছে তার। লিভারের পুরনো জটিলতা বাড়ায় অন্য রোগের প্রতিরোধ ক্ষমতাও দিনে দিনে কমে যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা। তার হৃদযন্ত্রে তিনটি ব্লকও ধরা পড়ে। এর একটিতে রিং পরানো হয়।

জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলায় ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি খালেদা জিয়ার সাজা হয়। সেদিন থেকে তিনি কারাবন্দি হন। ২০২০ সালের মার্চে দেশে করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব দেখা দিলে পরিবারের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে সরকার খালেদা জিয়ার দণ্ড ছয় মাসের জন্য স্থগিত করে। তখন থেকে তিনি গুলশানের বাড়িতে থাকেন। প্রতি ছয় মাস পরপর সরকার তাঁর মুক্তির মেয়াদ বাড়াচ্ছে।

(ঢাকাটাইমস/০১অক্টোবর/ডিএম)