মেঘনায় তিন জেলেকে হত্যা, ইউএনও অফিস ও থানা ঘেরাও

প্রকাশ | ০১ অক্টোবর ২০২৩, ১৮:৪৪

নোয়াখালী প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস

মেঘনা নদীর চট্টগ্রাম-সন্দীপ চ্যানেলে প্রতিপক্ষের হামলা ও গুলিতে নোয়াখালীর তিন জেলে নিহতের ঘটনার বিচারের দাবিতে বিক্ষোভ, মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছে নিহতদের পরিবার এবং স্থানীয়রা। এ সময় বিক্ষোভকারীরা সুবর্ণচর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয় ও চরজব্বার থানা ঘেরাও করে।

রবিবার দুপুরে কয়েক হাজার মানুষ একত্রিত হয়ে এ কর্মসূচি পালন করেন। পরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ আল আমিন সরকার ঘটনার সুষ্ঠু বিচারের আশ্বাস দিলে বিক্ষোভকারীরা তাদের কর্মসূচি তুলে নেন।

বিক্ষোভকারীরা জানান, গত বুধবার মেঘনা নদীর সন্দীপ চ্যানেলে মাইনউদ্দিন মাঝি ও অলি মাঝির দখলীয় একটি মাছ ধরার খোপে মাছ ধরছিলেন সুবর্ণচর উপজেলার জেলেরা। ওইদিন সন্ধ্যায় সুবর্ণচর উপজেলার চরবাটা ইউনিয়নের কেফায়েত মেম্বারের নেতৃত্বে একদল সন্ত্রাসী ওই জেলেদের ওপর হামলা চালায়। এ সময় তাদের প্রতিহত করতে গেলে জেলেদের এলোপাতাড়ি কুপিয়ে ও গুলি করলে অন্তত ৬ জনকে জখম করে সন্ত্রাসীরা।

পরে গত বৃস্পতিবার আহতদের মধ্যে আবদুর রহমান ও রাজু সন্দীপ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায়। সর্বশেষ শনিবার রাতে ঢাকায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় ইসমাইল নামে আরও এক জেলে মারা যান। বর্তমানে মৃত্যুর সঙ্গে লড়ছেন জিল্লুর রহমান, নূর আরম মিয়া ও নূর হোসেন নামের আরও তিন জেলে। এছাড়া জুয়েল নামের এক জেলে এখনও নিখোঁজ রয়েছেন। নিহত তিন জেলের বাড়ি সুবর্ণচর উপজেলার মোহাম্মদপুর ইউনিয়নে।

বিক্ষোভকারীদের অভিযোগ, তিন জেলে হত্যার ঘটনায় এখনও পর্যন্ত পুলিশ কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। তাই জেলে হত্যার বিচারের দাবিতে তারা বিক্ষোভ মিছিল, সুবর্ণচর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয় ও চরজব্বার থানা ঘেরাও করেছেন। পরে সুবর্ণচর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার অশ্বাসে তারা বিক্ষোভ প্রত্যাহার করে নেন।  

সুবর্ণচর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ আল-আমিন সরকার জানান, নিহতদের পরিবারকে মামলা করার পরামর্শ দেয়া হয়েছে। একই সঙ্গে ঘটনার বিষয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হয়েছে। ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

(ঢাকাটাইমস/০১ অক্টোবর/ইএইচ)