শরীয়তপুরে স্ত্রীর স্বীকৃতির দাবিতে তরুণীর অনশন, ধরে আদালতে পাঠালো পুলিশ
স্ত্রী হিসেবে স্বীকৃতির দাবি চেয়ে দেলোয়ার ঢালী নামের এক প্লাস্টিক কারখানার মালিকের বাড়িতে অবস্থান নিয়েছিলেন এক নারী। চারদিন অবস্থানের পর রবিবার সকালে তাকে পুলিশের হাতে তুলে দেয় দেলোয়ারের পরিবার।
রবিবার দুপুরে শরীয়তপুর সদর উপজেলার চিতলিয়া ইউনিয়নের ঝাউচর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। ওই দিন দুপুরেই ওই নারীকে উঠিয়ে আদালতের জিম্মায় নেয় শরীয়তপুর সদরের পালং মডেল থানা পুলিশ।
স্থানীয়রা জানায়, স্ত্রী হিসেবে স্বীকৃতির দাবিতে গত বুধবার দুপুরে চিতলিয়া ইউনিয়নের ঝাউচর এলাকার দেলোয়ার ঢালীর বাড়িতে অবস্থান নেন ওই নারী।
ওই নারীর দাবি, ২০২১ সালের জানুয়ারিতে এক আত্মীয়ের মাধ্যমে দেলোয়ার ঢালীর প্লাস্টিকের কারখানায় শ্রমিকের কাজ নেন তিনি। এক পর্যায়ে মালিক দেলোয়ার ঢালীর সঙ্গে তার প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। পরে দুজনের সম্মতিতে ঢাকার একটি কাজী অফিসে গিয়ে বিয়ে করেন তারা। পরে তারা ওই এলাকার একটি ভাড়া বাসায় ৭ মাস বসবাসও করেন। এরই মধ্যে ওই নারী হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে তার বাবার বাড়ি ময়মনসিংহ জেলায় পাঠিয়ে দেন দেলোয়ার।
এদিকে ওই নারী অনশনে বসার পর থেকে দেলোয়ার ঢালী বাড়ি থেকে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন। তার মোবাইল ফোনও বন্ধ রয়েছে।
শরীয়তপুর সদর উপজেলার চিতলিয়া ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য নান্নু মাল বলেন, ‘এক নারী স্ত্রীর স্বীকৃতির দাবিতে দেলোয়ারের বাড়িতে চারদিন অনশন করেছে। আজ তাদের বিয়ে হওয়ার কথা। কিন্তু শুনলাম বিয়ে হয়নি ওই নারীকে আদালতে পাঠিয়েছেন পুলিশ।’
শরীয়তপুর সদরের পালং মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মেজবাহ উদ্দীন আহমেদ বলেন, ‘ওই নারী বলেন তাদের বিয়ে হয়েছে, আর ছেলের পরিবার বলছে, বিয়ের কোনো ডকুমেন্টস দেখাক। মেয়ে নানা রকম হুমকি-ধমকি দিচ্ছে। তিনি যদি কোনো দুর্ঘটনা ঘটান তাই তাকে আদালতে পাঠানো হয়েছে।’
(ঢাকাটাইমস/০২অক্টোবর/এআর)
মন্তব্য করুন