রাজবাড়ীতে আ.লীগের দুই নেতাকে কুপিয়ে জখম
প্রকাশ | ০৫ অক্টোবর ২০২৩, ১৫:৫৪ | আপডেট: ০৫ অক্টোবর ২০২৩, ১৬:০৮
রাজবাড়ী সদর উপজেলায় পূর্ব শত্রুতার জেরে আওয়ামী লীগের দুই নেতাকে কুপিয়ে জখম করেছে দুর্বৃত্তরা। বুধবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে সদর উপজেলার মিজানপুর ইউনিয়নের সূর্যনগর রেলগেট এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
আহতরা হলেন, মিজানপুর ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. হান্নান শেখ (৪৫) ও একই ওয়ার্ডের আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সাগর মন্ডল (৩৫)। এ বিষয়ে সদর থানায় একটি মামলা করা হযেছে।
তবে এই সস্ত্রাসী হামলার তীর রাজবাড়ী জেলা পরিষদ সদস্য মো, আজম আলী মন্ডলের দিকে। অবশ্য বালু ব্যবসায়ী তার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, হান্নান শেখ জৌকুড়া ঘাটে বালির ব্যবসা করেন। বুধবার বিকালে হান্নান শেখ ও সাগর মন্ডল সূর্যনগর রেলগেট এলাকায় চায়ের দোকানে বসে চা খাচ্ছিলেন। এ সময় ২৫-৩০ জন দুর্বৃত্তের একটি দল তাদের ওপর অতর্কিত হামলা করে। তাদেরকে কুপিয়ে জখম ও হাতুড়িপেটা করে দুর্বৃত্তরা পালিয়ে যায়। পরে স্থানীয়রা হান্নান ও সাগরকে উদ্ধার করে রাজবাড়ী সদর হাসপাতালে নিয়ে যায়।
হান্নান শেখের স্ত্রী শিল্পী খাতুন অভিযোগ করে বলেন, দীর্ঘদিন ধরে বালু ব্যবসাকে কেন্দ্র করে আমার স্বামীর সঙ্গে জেলা পরিষদের সদস্য ও প্যানেল চেয়ারম্যান আজম মন্ডলের দ্বন্দ্ব চলছিল। বুধবার বিকালে হান্নান শেখ ও সাগর মণ্ডল সূর্যনগর রেলগেট এলাকায় চায়ের দোকানে বসে চা খাচ্ছিলেন। এ সময় আজম মন্ডলের ২৫/৩০ জন সন্ত্রাসী এসে আমার স্বামী ও সাগরকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে ও হাতুড়ি পেটা করে আহত করে। পরে স্থানীয়রা আমার স্বামী ও সাগরকে মুমূর্ষু অবস্থায় উদ্ধার করে রাজবাড়ী হাসপাতালে নিয়ে যায়। তাদের শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে চিকিৎসক ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করে।
হাসপাতালের জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. নুরুল ইসলাম বলেন, আহত অবস্থায় দুইজনকে হাসপাতালে আনা হয়।তাদের শরীরে জখমের চিহ্ন রয়েছে। এখানে তাদের প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ফরিদপুরে রেফার্ড করা হয়েছে।
রাজবাড়ী জেলা পরিষদের সদস্য ও প্যানেল চেয়ারম্যান আজম মন্ডল বলেন, আমি আজ সারাদিন অফিসিয়াল কাজে ছিলাম। এ ঘটনাটি স্থানীয়রা আমাকে ফোন করে জানায়। এর সঙ্গে আমি এবং আমার কোনো লোকের সম্পৃক্ততা নেই।
তিনি আরও বলেন, হান্নান শেখ ও সাগর মন্ডল এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে মাদক সেবন করতো। এলাকাবাসী তাদের এ বিষয়ে অনেক বার সতর্ক করেছে। কিন্তু তারপরও তারা মাদক সেবন চালিয়ে যায়। তাই আজ এলাকাবাসী তাদেরকে ধরে গণপিটুনি দিয়েছে।
রাজবাড়ী সদর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শাহাদাত হোসেন বলেন, ঘটনাটি আমি শুনেছি। যে এলাকায় ঘটনাটি ঘটেছে সেখানে পুলিশের একটি টিম পাঠানো হয়েছে। আমরা তদন্ত করে দেখছি।
(ঢাকাটাইমস/০৫অক্টোবর/প্রতিনিধি/এআর)