ধর্ষণের পর আগুনে পুড়িয়ে হত্যাচেষ্টা: ৪০ দিন পর সেই মাদরাসাছাত্রীর মৃত্যু

প্রকাশ | ১৮ অক্টোবর ২০২৩, ১৭:১২

শিবগঞ্জ (বগুড়া) প্রতিনিধি, ঢাকা টাইমস
মাদরাসা শিক্ষার্থী মারুফা।

বগুড়ার শিবগঞ্জে ধর্ষণের পর এক মাদরাসা ছাত্রীর শরীরে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে হত্যাচেষ্টার ঘটনায় আহত মাদরাসা শিক্ষার্থী মারুফা মারা গেছেন।

 

রাজধানীর শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ৪০ দিন চিকিৎসাধীন থাকার পর মঙ্গলবার রাত ৮টার দিকে তার মৃত্যু হয়।

 

শিবগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুর রউফ মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

 

মারুফা উপজেলার আটমূল ইউনিয়নের নান্দুড়া গ্রামের মাসুদুর রহমানের মেয়ে এবং স্থানীয় নান্দুরা ফাজিল মাদরাসার আলিম শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিলেন।

 

মৃত মারুফার চাচা কামরুজ্জামান জানান, হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মঙ্গলবার দুপুরে মারুফার শারীরিক অবস্থা খারাপ হতে থাকে। একপর্যায়ে দুপুর ১টার দিকে জ্ঞান হারিয়ে ফেলে। এরপর রাত ৮টার দিকে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

 

গত ৮ সেপ্টেম্বর দুপুরে বাড়িতে কেউ না থাকার সুযোগে তিন জন ওই কিশোরীকে সংঘবদ্ধভাবে ধর্ষণ করে। পরে হত্যার উদ্দেশ্যে কিশোরীর গায়ে আগুন ধরিয়ে দিয়ে পালিয়ে যায়।

 

জানতে পেরে স্থানীয়রা আগুনে দগ্ধ মারুফাকে উদ্ধার করে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করান। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে রাজধানীর শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে তাকে ভর্তি করা হয়। 

 

এ ঘটনায় গত ৯ সেপ্টেম্বর শিবগঞ্জ থানায় মারুফার বাবা মাসুদুর রহমান বাদী হয়ে ৩ জনকে আসামি করে ধর্ষণ মামলা দায়ের করে। 

 

ঘটনার কয়েকঘণ্টার মধ্যে মূল আসামি সাইফুল ইসলামকে (২৮) গ্রেপ্তার করে পুলিশ। মামলার বাকি দুই আসামি রঞ্জু (৪০) ও নাঈম (২৩) পলাতক রয়েছেন।  

 

শিবগঞ্জ থানার ওসি আব্দুর রউফ জানান, রাত ৮টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ওই কিশোরী মারা গেছে। মরদেহ বগুড়ায় আনার পর ময়নাতদন্ত করা হবে। এ ঘটনায় মূল অভিযুক্ত গ্রেপ্তার হয়েছে। বাকি দুই জন পলাতক।

 

(ঢাকাটাইমস/১৮অক্টোবর/এআর)