রাজনৈতিক সমাবেশ ঘিরে বিশেষ সতর্কতা কেন্দ্রীয় ব্যাংকের

প্রকাশ | ২৭ অক্টোবর ২০২৩, ১৪:২৬ | আপডেট: ২৭ অক্টোবর ২০২৩, ১৪:৫৭

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা টাইমস

রাজধানীতে দুদল পাল্টা-পাল্টি সমাবেশ করবে শনিবার। আর এরই মধ্যে বিএনপির এক দফা আন্দোলনে যুক্ত হয়েছে গত ফেব্রুয়ারিতে যুগপৎ আন্দোলন থেকে সরে যাওয়া জামায়াতে ইসলামী।

ধর্মভিত্তিক দলটি অনুমতি পাবে না জেনেও শনিবার রাজধানীর মতিঝিল শাপলা চত্বরে মহাসমাবেশের ঘোষণা দিয়েছে। রাজধানীর অন্যতম প্রধান এই বাণিজ্যিক এলাকায় রয়েছে অনেক গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা ও কি পয়েন্ট ইন্সটলেশন বা কেপিআইভূক্ত প্রতিষ্ঠান।

এমন এলাকায় রাজনৈতিক সমাবেশ পালনের ব্যাপারে আদালতের নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। এরপরও যদি কেউ বা কোনো দল সভা-সমাবেশ কিংবা রাজনৈতিক কর্মসূচী পালন করে সেই আশঙ্কা থেকে বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করছে বাংলাদেশ ব্যাংক। নিরাপত্তা নির্বিঘ্ন করতে বিশেষ নির্দেশনাও দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

বাংলাদেশ ব্যাংকের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, রাজনৈতিক সংঘাত সহিংসতার আড়ালে ব্যাংকের শাখা ও এটিএম বুথে দুষ্কৃতিকারিদের হামলা ও লুটের মতো ঘটনা এড়াতে ব্যাংকগুলোকে সতর্ক থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

বিশেষ করে মতিঝিল, পল্টন ও গুলিস্তান এলাকায় অবস্থিত ব্যাংকগুলোর শাখা ও এটিএম বুথে নিরাপত্তা বাড়ানোর পরামর্শ দেয়া হয়েছে। একই সঙ্গে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ের নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে।

এ বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মেজবাউল হক গণমাধ্যমকে বলেন, ‘কেপিআইভুক্ত প্রতিষ্ঠান হওয়ায় এমনিতেই কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নিরাপত্তা ব্যবস্থা অনেক ভালো। রাজনৈতিক সংঘাত-সহিংসতার সময়ও বিশেষ ব্যবস্থায় কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে কাজ করে নিজস্ব নিরাপত্তা টিম। আমাদের প্রয়োজনীয় সংখ্যক নিরাপত্তাকর্মী রয়েছে। ব্যাংকের অভ্যন্তরে পুলিশের একটি বড় ইউনিট রয়েছে। বরাবরের মতো এবারো আমরা যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবিলায় প্রস্তুত আছি।’

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের একটি সূত্র জানিয়েছ, ২৮ অক্টোবর ঘিরে যেকোন অনাকাঙ্খিত পরিস্থিতি মোকাবিলায় প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে ব্যাংকগুলোকে মৌখিক নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। কৌশলগত কারণে লিখিত নির্দেশনা দেয়া হয়নি।

সূত্রটি আরও জানায়, অতীতে কয়েকবার ব্যাংকের শাখা ও এটিএম বুথে হামলার ঘটনা ঘটেছে। যার ফলে এবার আমরা বিশেষ সতর্কতা অবলম্বন করছি। সেটি বিবেচনায় নিয়ে আগাম প্রস্তুতি নিতে বলা হয়েছে। বুথে টাকা কম রেখে সেবা নিশ্চিত করা যায় কি-না সেটিও বিবেচনায় রাখতে পরামর্শ দেয়া হয়েছে।

এদিকে শনিবার ঢাকায় রাজনৈতিক দলগুলোর সমাবেশ ঘিরে উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা বাড়ছে। এমন প্রেক্ষাপটে পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়ে সমন্বিত আটটি ব্যাংক ও একটি আর্থিক প্রতিষ্ঠানের সিনিয়র অফিসার (জেনারেল) পদের নিয়োগ পরীক্ষাও স্থগিত করা হয়েছে।

এছাড়া ডাক বিভাগ ও বাংলাদেশ পরমাণু কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট (বিনা) তাদের অধীনস্থ শুক্র ও শনিবারের সব নিয়োগ পরীক্ষা স্থগিত করেছে।

অনেকগুলো প্রতিষ্ঠান পরীক্ষা স্থগিত করলেও জনতা ব্যাংকের অফিসার (আরসি) পদের পরীক্ষা স্থগিতের বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়নি এখনো। শুক্রবার বিকালে ঢাকার ২৭ কেন্দ্রে এ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। এতে প্রার্থীর সংখ্যা প্রায় ৬৭ হাজার।

এ বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে জনতা ব্যাংক কর্তৃপক্ষ কোনো মন্তব্য করতে রাজি হয়নি। নাম প্রকাশ না করার শর্তে ব্যাংকটির এক শীর্ষ কর্মকর্তা ঢাকা টাইমসকে বলেন, ‘পরীক্ষার্থীরা দেশের দূরদূরান্ত থেকে ইতোমধ্যে চলে এসেছে ঢাকায়। পুলিশ ও গোয়েন্দা সংস্থা আশ্বস্ত করায় পরীক্ষার সময় পরিবর্তন করা হয়নি।’

(ঢাকাটাইমস/২৭অক্টোবর/এএস/ডিএম)