১৫শ গাড়ি নিয়ে আ.লীগের শান্তি সমাবেশে যোগ দেবেন জাহাঙ্গীর আলম

প্রকাশ | ২৮ অক্টোবর ২০২৩, ১১:০১ | আপডেট: ২৮ অক্টোবর ২০২৩, ২০:০৩

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা টাইমস

বায়তুল মোকাররম দক্ষিণ গেটে আওয়ামী লীগের শান্তি উন্নয়ন সমাবেশে প্রায় ৫০ হাজার নেতাকর্মী নিয়ে যোগ দেবেন গাজীপুরের সাবেক মেয়র জাহাঙ্গীর আলম। 

ঢাকা টাইমসকে জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ‘আওয়ামী লীগের শান্তি উন্নয়ন সমাবেশে যোগ দিতে আমি ১৫শ গাড়ি ভাড়া করেছি। এছাড়া স্থানীয় নেতাকর্মীদের আরও কিছু গাড়ি ভাড়া করার জন্য খরচ দিয়েছি। সবকিছু মিলিয়ে ৫০ হাজারের বেশি নেতাকর্মী হবে বলে আশা করছি। তাদের নিয়ে আওয়ামী লীগের শান্তি উন্নয়ন সমাবেশে যোগ দেব।’

তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগের শান্তি উন্নয়ন সমাবেশে গাজীপুর থেকে যেসব নেতাকর্মী নিয়ে যাব তাদের জন্য খাবারের আয়োজন করা হয়েছে। তিনশ ডেগ খাবারের আয়োজন করা হয়েছে, যা প্রায় ৫০-৬০ হাজার মানুষ খেতে পারবে।


জাহাঙ্গীর আলম ঢাকা টাইমসকে আরও বলেন, ‘শুক্রবার বিকাল থেকে এ উপলক্ষে গাজীপুরের ছয়দানার বাসায় খাবারের আয়োজন চলছে। তিন শতাধিক ডেকচিতে রান্না হচ্ছে।’

তিনি বলেন, ‘আমার সঙ্গে যারা আওয়ামী লীগের শান্তি ও উন্নয়ন সমাবেশ যাবে তাদের খাবারের ব্যবস্থা করা হয়েছে। যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবেলায় গাজীপুর আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা প্রস্তুত রয়েছে।’

সরজমিন গিয়ে দেখা গেছে, সাজিয়ে রাখা হয়েছে কয়েকশ রান্নার ডেকচি, পাশেই বসানো হচ্ছে লাকড়ির চুলা। তার পাশেই জবাই করা গরু ও মুরগির কাটা বাছাইয়ের কাজ করে রান্নার উপযোগী করছেন লোকজন। স্তূপ করে রাখা হয়েছে শত বস্তা চাল, হাজারো ডিম, ডাল, তেল ও বিশুদ্ধ পানির বোতল। এগুলো দেখভালের দায়িত্ব পালন করছেন স্বেচ্ছাসেবীরা।

অন্যদিকে, শুক্রবার বিকাল থেকেই রান্নার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছেন বাবুর্চিরা। দম ফেলার ফুরসত নেই তাদের।

এর ফাঁকে ফাঁকে সাবেক মেয়র জাহাঙ্গীর আলম রান্নার স্থলে এসে বিভিন্ন ধরনের দিকনির্দেশনা দিচ্ছেন। এ নিয়ে গত কয়েক দিন ধরেই চলছিল প্রস্তুতি।

রান্নার দেখভালের দায়িত্বে থাকা স্বেচ্ছাসেবী সাব্বির আহমেদ ঢাকা টাইমসকে বলেন, ‘রান্না করার নেতৃত্ব দিচ্ছেন বাবুর্চি মো. জামাল হোসেন। কয়েক দিন ধরেই চলছে এ রান্নার আয়োজন। শুক্রবার থেকে মূল প্রস্তুতি শুরু হয়েছে। তিনটি গরু ও পাঁচ শতাধিক মুরগি জবাই করে রান্নার জন্য প্রস্তুত করা হয়েছে। সন্ধ্যা থেকে তিন শতাধিক ডেকচিতে খিচুড়ি রান্না করা চলছে। সারারাত রান্না চলছে। রান্না শেষ হওয়ার পরপরই খাবারগুলো প্যাকেটিং করা হয়েছে। 

(ঢাকাটাইমস/২৮অক্টোবর/জেএ/এফএ)