খসে পড়ছে ছাদের পলেস্তারা, আতঙ্কে শিক্ষক-শিক্ষার্থী

প্রকাশ | ০১ নভেম্বর ২০২৩, ১৫:৪৪ | আপডেট: ০১ নভেম্বর ২০২৩, ১৫:৫১

কেন্দুয়া (নেত্রকোনা) প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস

নেত্রকোনার কেন্দুয়া উপজেলার দক্ষিণ রাজনগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে আগেরদিন শিক্ষক শিশু শ্রেণিতে যখন ক্লাস নিয়েছিলেন তখন রুমটি ছিল খুব পরিপাটি। কিন্তু সোমবার সকালে শ্রেণিকক্ষের দরজা খুলতেই শিক্ষকের চোখ কপালে উঠে যায়। কারণ, দরজা খুলতেই চোখে পড়ে ছাদের বিম থেকে খসে পড়েছে পলেস্তারার বড় বড় টুকরা।

জানা যায়, স্থানীয় শিক্ষানুরাগীরা বিদ্যালয়টি ১৯৭০ সালে প্রতিষ্ঠা করেন। বিদ্যালয়টির জাতীয়করণ হয় ১৯৭৩ সালে। বিদ্যালয়ে দুইটি পাকাভবন রয়েছে, একটি তিন কক্ষ অপর দুই কক্ষ বিশিষ্ট। যে ভবনের বিমের পলেস্তারা খসে পড়ছে ওই ভবনটি ১৯৯৪ সালে নির্মাণ করা হয়। ভবনটিতে রঙ মেখে উপরে চকচক করে রাখলেও ভেতরের পলেস্তারার অবস্থা খুবই করুণ বলে জানা গেছে।

বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. তারেক উজ্জামান (কামাল) জানান, সকালবেলা স্কুলের শিশু শ্রেণির দরজা খুলে দেখি বিমের বেশকিছু অংশের পলেস্তারা খসে ফ্লোরে পড়ে আছে। ওই কক্ষটিতে ৪৬ জন শিক্ষার্থী নিয়মিত ক্লাস করেন। স্কুল চলাকালীন সময় ভেঙে পড়লে নিশ্চিত হতাহতের ঘটনা ঘটতে পারত। বিষয়টি উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানোর পর এই ক্লাসরুমটি পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হয়েছে। এই ভবনের অন্য কক্ষগুলোর অবস্থা ভালো না। যেকোনো সময় পলেস্তারা খসে পড়ে দুর্ঘটনা ঘটে যেতে পারে। এ নিয়ে শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা সবসময় আতঙ্কগ্রস্ত থাকেন বলেও জানান তিনি।

তিনি আরও বলেন, বিদ্যালয়ে সব ক্লাস মিলিয়ে ২৭৫ জন শিক্ষার্থী রয়েছেন। অফিস কক্ষের অবস্থাও  তেমন একটা ভালো না।

উপজেলার সহকারী প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার আমিনুল ইসলাম বলেন, আমি খবর পেয়ে মৌখিকভাবে ভবনটি পরিত্যক্ত ঘোষণা করেছি। খুব শিগগিরই উপজেলা প্রকৌশলীকে নিয়ে প্রদর্শন করে অফিসিয়ালি পরিত্যক্ত ঘোষণা করব। এ ব্যাপারে উর্ধতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে নতুন ভবন নির্মাণের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

(ঢাকাটাইমস/০১ নভেম্বর/ ইএইচ)