তাড়াশে সবজির দাম দ্বিগুণ, বিপাকে নিম্ন আয়ের মানুষ

প্রকাশ | ০১ নভেম্বর ২০২৩, ১৮:০৬

শায়লা পারভীন, তাড়াশ (সিরাজগঞ্জ)

সিরাজগঞ্জের তাড়াশ উপজেলার বাজারগুলোতে প্রতিটি সবজির দাম বেড়ে প্রায় দ্বিগুণ হয়েছে। হঠাৎ সবজির দাম বাড়ায় বিপাকে পড়েছেন নিম্ন আয়ের মানুষজন।

সরেজমিনে স্থানীয় বাজার ঘুরে দেখা গেছে- পাইকারি বাজারে আমদানি না থাকায় প্রতিটি সবজি প্রায় দ্বিগুণ দামে বিক্রি হচ্ছে খুচরা বাজারে।

বাজারের ব্যবসায়ীরা বলছেন, সরবরাহ কম থাকায় সবজির দাম বেড়েছে। অন্যদিকে সরবরাহ বাড়লে সবজির দাম কমে আসবে বলে জানান খুচরা বাজারের ব্যবসায়ীরা।

তাড়াশ পৌর বাজারের ব্যবসায়ী সাইদুর রহমান ঢাকাটাইমসকে বলেন, অজ্ঞাত কারণে সবজির সরবরাহ কমেছে বলেই দাম কিছুটা বেড়েছে। অথচ সাধারণ ক্রেতরা বলছেন বাজারে দাম ক্রমাগত বেড়েই চলেছে। সপ্তাহের ব্যবধানে বাজারে বেশিরভাগ সবজির দাম বেড়ে প্রায় দ্বিগুণ হয়েছে।

তাড়াশ পৌর সদর বাজারে গিয়ে দেখা যায়, সবজির পর্যাপ্ত সরবরাহ থাকা সত্ত্বেও বিক্রি হচ্ছে উচ্চ দামে। সেই সঙ্গে পেঁয়াজ, আলু, কাঁচামরিচ, আদা, রসুনের চড়া দাম মূল্যবৃদ্ধি সূচকে নতুন মাত্রা যোগ করেছে। বাজারে ফুলকপি বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ১২০ টাকা দরে। সরকার নির্ধারিত ৩৬ টাকা মূল্যে আলু বিক্রি হওয়ার কথা থাকলেও সেটি বিক্রি হচ্ছে ৭০ টাকা কেজিতে। কোনো কোনো বাজারে আলু ৬০ থেকে ৬৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি করতে দেখা গেছে।

প্রতি কেজি মুলা বিক্রি হচ্ছে ৭০ টাকা থেকে ৮০ টাকায়। বেগুনের দাম এক লাফে বেড়ে হয়েছে ৬০ থেকে ৭০ টাকা যা গত সপ্তাহে ছিল ৪৫-৫০ টাকা প্রতি কেজি। করলার দাম প্রতি কেজিতে ২০ টাকা বৃদ্ধি পেয়ে ৬০ টাকা থেকে ৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। মুখিকচু ১০ থেকে ১৫ টাকা বৃদ্ধি পেয়ে ৬০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। গাজর ১৬০ টাকা, কাঁচা মরিচ ২০০ টাকা, পটল ৬০ টাকা, পেঁপে ৪০ টাকা, লাউ প্রতি পিস ৫০ টাকা, কাঁচা মরিচ ২০০ টাকা, এবং পেঁপে ৪০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে।

এদিকে দেশি পেঁয়াজ ৭০ টাকা থেকে বেড়ে ১৪০ টাকা, আদা ২৪০ টাকা, রসুন ২৪০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করছে খুচরা ব্যবসায়ীরা। গত সপ্তাহ থেকে এ সপ্তাহে প্রতিটি সবজির দাম ২০ টাকা থেকে ৫০ টাকা বৃদ্ধি পেয়েছে।

বাজার করতে আসা আরিফুল ইসলাম বলেন, সপ্তাহের ব্যবধানে বাজার করতে এসে দেখি সব কিছুর দাম বৃদ্ধি পেয়ে প্রায় দ্বিগুণ হয়েছে। আমরা গরিব মানুষ। দাম বেশি হওয়ায় অল্প পরিমাণে সবজি কিনেছি। তাতে পুরো সপ্তাহ যাবে না। এতেই আমার বাজেটের টাকা শেষ। মাছ মাংসের দোকানের দিকে যাওয়া তো আমাদের মত গরিব মানুষের জন্য দুঃস্বপ্ন। সাধারণ মানুষ এসব সবজি কিনতে হিমশিম খাচ্ছেন।

(ঢাকাটাইমস/০১ নভেম্বর/ ইএইচ)