বগুড়ায় ট্রাকে আগুন-ককটেল বিস্ফোরণ, পুলিশের টিয়ারশেল নিক্ষেপ

প্রকাশ | ০২ নভেম্বর ২০২৩, ১৫:৩২ | আপডেট: ০২ নভেম্বর ২০২৩, ১৫:৪৮

বগুড়া প্রতিনিধি, ঢকাটাইমস

বগুড়ায় ট্রাকে পেট্রোল ঢেলে আগুন দিয়েছে অবরোধকারীরা। বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টা নাগাদ শহরের বারোপুর এলাকায় বাইপাস রোডে এ ঘটনা ঘটে।

এছাড়াও সকাল থেকে বিএনপি জামায়াতের নেতাকর্মীরা মহাসড়কের বিভিন্ন পয়েন্টে অবস্থান নেয়। এ সময় পুলিশের সঙ্গে ধাওয়া পাল্টাধাওয়া, ইটপাটকেল নিক্ষেপ ও ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায় অবরোধকারীরা। পুলিশ তাদেরকে লক্ষ্য করে টিয়ারশেল ও কয়েক রাউন্ড গুলি ছোড়ে। 

এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত মহাসড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে। মহাসড়কগুলোর গুরুত্বপূর্ণ স্থানে পুলিশ এবং আইনৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা অবস্থান নিয়েছেন।

বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই শহরের তিনমাথা এলাকায় মহাসড়ক অবরোধ করে রেখেছিল বিএনপি নেতাকর্মীরা। তারা ওই রাস্তা দিয়ে কোনো যানবাহন চলাচল করতে দিচ্ছিলেন না।  এ সময় তারা ট্রাকসহ বেশ কয়েকটি যানবাহন ভাঙচুর করেন। এক পর্যায়ে পুলিশের সঙ্গে তাদের ইটপাটকেল  নিক্ষেপ ও ধাওয়া পাল্টাধাওয়ার ঘটনা ঘটে। তারা পুলিশকে লক্ষ্য করে অন্তত ৮টি ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায়। পুলিশ তাদের দিকে কয়েক রাউন্ড রাবার বুলেট ও টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে ছত্রভঙ্গ করে দেয়। শহরের মাটিডালি, বনানী এলাকাতেও সকালের দিকে অবরোধকারীদের সঙ্গে পুলিশের ধাওয়া পাল্টাধাওয়ার ঘটনা ঘটে।

এদিকে, শহরের বারোপুর এলাকায় একটি ট্রাকে আগুন দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। দুপুর ১২টা নাগাদ ট্রাকে পেট্রোল ঢেলে আগুন দেয়া হয় জানিয়ে ট্রাকের মালিক নূর আলম জানান, অবরোধের কারণে গত দুদিন ধরে বাড়িতে বসেছিলেন তিনি। ট্রাকও গ্যারেজ করা ছিল। আজ অবরোধের শেষ দিন। এই কারণে ট্রাক ধোয়ার জন্য গ্যারেজ থেকে বের করা হয়। একই সঙ্গে অন্য একটি গ্যারেজে সার্ভিসিং করার জন্য নিচ্ছিলেন। এর মধ্যে রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে থাকা ৬ থেকে ৭ জন যুবক এসে গাড়িতে পেট্রোল ঢেলে আগুন লাগিয়ে দেন। তখন ভয়ে গাড়ি থেকে নেমে যান তিনি। এ সময় তার হাতের কিছু অংশ পুড়ে যায়। পরে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সহযোগিতায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।

অন্যদিকে, সারাদেশে বিএনপি জামায়াতের হত্যা, অগ্নিসংযোগ, বোমা হামলা, যানবাহন ভাঙচুর ও সন্ত্রাসের প্রতিবাদে সমাবেশ করেছে বগুড়া জেলা আওয়ামী লীগ। বৃহস্পতিবার বেলা ১১টায় শহরের মাটিডালি বিমানমোড়ে এ সমাবেশ করেন তারা। সমাবেশে জেলা আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গসংগঠনের শীর্ষ পর্যায়ের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

ট্রাকে দেয়া আগুন সম্পর্কে র‌্যাব-১২ এর কোম্পানি কমান্ডার মীর মনির হোসেন বলেন, খবর পাওয়ার পরপরই আমরা দ্রুত ঘটনাস্থলে যাই। দুষ্কৃতিকারীরা স্থানীয় বাসিন্দা বলে মনে হচ্ছে না। দূরের অপরাধীরা এসে অপরাধ সংঘটিত করে পালিয়ে যাচ্ছেন। আমরা বিষয়টি খুব গুরুত্ব সহকারে দেখছি।

বগুড়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) স্নিগ্ধ আখতার বলেন, সকালে তারা মহাসড়কে বেরিয়েছিল। এখন নেই। ওই সময় তারা পুলিশের দিকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। তারা ৮টি ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায়। তাদের ছত্রভঙ্গে করতে ২ রাউন্ড রাবার বুলেট এবং টিয়ারশেল নিক্ষেপ করা হয়। বর্তমানে যান চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে। আমরা জনগণ এবং যানমালের নিরাপত্তায় সর্বোচ্চ চেষ্টা করছি।

(ঢাকাটাইমস/০২ অক্টোবর/ইএইচ)