ক্যান্সার আক্রান্ত স্ত্রীর মরদেহ নদীর বাঁধে ফেলে পালালেন স্বামী

প্রকাশ | ০২ নভেম্বর ২০২৩, ২১:৫৬ | আপডেট: ০২ নভেম্বর ২০২৩, ২১:৫৯

গাইবান্ধা প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস

গাইবান্ধার সাদুল্লাপুরে স্ত্রীর মরদেহ দাফন না করে নদীর বাঁধে ফেলে পালিয়ে গেছেন স্বামী খোকন মিয়া। পরে খবর পেয়ে পুলিশ মরদেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য গাইবান্ধা সদর হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করেছে। তবে এটি হত্যা নাকি স্বাভাবিক মৃত্যু তা নিশ্চিত হতে পারেনি পুলিশ। 

বৃহস্পতিবার দুপুরে ওই নারীর মরদেহ উদ্ধার করে মর্গে পাঠায় পুলিশ। এর আগে, সকালে সাদুল্লাপুর উপজেলার কামারপাড়া ইউনিয়নের খামার বাগছী এলাকার ঘাঘট নদীর বাঁধের উপর থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।

মৃত নারীর নাম শারমিন খাতুন (২৩)। শারমিন খাতুন সাদুল্লাপুর উপজেলার হাটলক্ষীপুর এলাকার খোকন মিয়ার স্ত্রী। খোকন মিয়া স্ত্রী শারমিনকে নিয়ে কামারপাড়া ইউনিয়নের হিয়ালী গ্রামে নানার বাড়িতে বসবাস করছিলেন।

বিষয়টি নিশ্চিত করে সাদুল্লাপুর থানার ওসি মো. মাহবুব আলম জানান, দীর্ঘদিন ধরে ক্যানসারে আক্রান্ত ছিলেন শারমিন খাতুন। চিকিৎসার জন্য স্বামী খোকন মিয়া ভ্যানযোগে স্ত্রীকে নিয়ে গ্রামে গ্রামে সাহায্য (টাকা) তুলে বেড়াতেন। সারাদিন ঘুরে যা পেতেন তা দিয়েই চিকিৎসার পাশাপাশি তাদের সংসার চলতো। প্রতিদিনের মতো বুধবার স্ত্রীকে নিয়ে বের হয় খোকন। পরে উপজেলার ভাতগ্রাম ইউনিয়নের ভগবানপুর গ্রামে গেলে শারমিনের মৃত্যু হয়। এ সময় এলাকার লোকজন আর্থিক সহযোগিতা করে মরদেহ দাফনের জন্য খোকনকে বাড়িতে পাঠিয়ে দেয়। কিন্তু খোকন মিয়া স্ত্রীর মরদেহ দাফন না করে খামার বাগছী এলাকার বাঁধে ফেলে রেখে পালিয়ে যান।

পরে বৃহস্পতিবার সকালে স্থানীয়রা এক নারীর পরিত্যাক্ত মরদেহ দেখে পুলিশকে খবর দেয়। খবর পেয়ে পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে।

তিনি আরও জানান, এ ঘটনায় থানায় একটি ইউডি মামলা করা হয়েছে। এটি হত্যা নাকি স্বাভাবিক মৃত্যু তা বলা যাচ্ছে না। মরদেহের শরীরে কোনো আঘাতের চিহ্ন নেই। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পেলে মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে। মরদেহ ফেলে স্বামী খোকন মিয়া কেনো পালিয়েছে তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।

(ঢাকাটাইমস/০২ নভেম্বর/ইএইচ)