ফরিদপুরে সেপটিক ট্যাংকে নেমে বিষক্রিয়ায় দুজনের মৃত্যু

প্রকাশ | ০৪ নভেম্বর ২০২৩, ১৪:৫২ | আপডেট: ০৪ নভেম্বর ২০২৩, ১৫:২৬

ফরিদপুর প্রতিনিধি, ঢাকা টাইমস

ফরিদপুরে নির্মাণাধীন একটি ভবনের সেপটিক ট্যাংকে নেমে কাজ করার সময় বিষক্রিয়ায় দুজনের মৃত্যু হয়েছে।

শনিবার সকালে শহরের চরকমলাপুর সাব্বির খান সড়কে জি এম ফারুক হাওলাদারের নির্মাণাধীন ভবনের সেপটিক ট্যাংকের মধ্যে কাজ করার সময় এ দুর্ঘটনা ঘটে।

স্থানীয়রা জানায়, শনিবার সকালে শহরের চর কমলাপুর এলাকার জাহাঙ্গীর আলমের ছয় তলা নির্মাণাধীন ভবনে  কাজে আসেন রাজমিস্ত্রির সহকারী সায়েম মুসল্লি (২০) ও আরো কয়েকজন। সেপটিক ট্যাংকির ভেতরে প্রথমে প্রবেশ করেন সায়েম। প্রবেশ করার সঙ্গে সঙ্গেই চিৎকার দিলে এগিয়ে যান সাব-ঠিকাদার আকরাম হোসেন বাবু (৪৫)। সায়েমকে উপরে ওঠাতে গেলে তিনিও পরে যান ট্যাংকের ভেতরে।

পরে সংবাদ পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে সায়েম ও আকরাম হোসেনের মরদেহ উদ্ধার করে। নির্মাণাধীন ভবনের কাজ দীর্ঘ ছয় মাস বন্ধ থাকার পর আজ থেকে পুনরায় কাজ শুরু করে শ্রমিকরা। সেপটিক ট্যাংকের ভেতরে বিষাক্ত গ্যাসের কারণেই মারা যান দুই জন।

সায়েম মল্লিক ফরিদপুর সদর উপজেলার কানাইপুর ইউনিয়নের কোষা গোপালপুর গ্রামের মৃত রাশেদ মুসল্লির ছেলে এবং আকরাম হোসেন বাবু শহরের রঘুনন্দনপুর এলাকার ছত্তার মিয়ার ছেলে।


নির্মাণাধীন ভবনের কাজে নিয়োজিত শ্রমিক রাশেদ বলেন, দীর্ঘ ৬ মাস কাজ বন্ধ ছিল। শনিবার সকালে কাজ শুরু করি। সেপটিক ট্যাংকের সেন্টারিং করা ছিল। ভেতর থেকে সেন্টারিং খোলার কাজ শুরু করি। ট্যাংকের মুখ খোলার পর সায়েম ভেতরে নামতে যায়। তখন আমরা বলেছিলাম এক ঘণ্টা পর নামতে, কিন্তু কথা না শুনে সায়েম ভেতরে নেমে পড়ে। 

তিনি আরও বলেন, সামেয় ভেতরে নামার পর চিৎকার দিলে আমাদের সাব-ঠিকাদার আকরাম হোসেন বাবু তিনি ওপর থেকে সায়েমকে টেনে তুলতে গিয়ে নিজেও ট্যাংকের মধ্যে পড়ে যান। আমরা অনেক চেষ্টা করেছি তাদের ওঠাতে কিন্তু পারিনি। ট্যাংকের মুখ ছোট থাকায় তাদের বের করতে পারিনি। ৬ মাস ট্যাংকের মুখ বন্ধ থাকায় ভেতরে গ্যাস হয়ে গিয়েছিল। বিষাক্ত গ্যাসের কারণে তারা দুজন মারা যান।

ফরিদপুর কোতোয়ালি থানার এসআই মো. জাহাঙ্গীর আলম এ প্রসঙ্গে বলেন, খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা এসে ট্যাংকের ভেতর থেকে মরদেহ দুটি উদ্ধার করে। মরদেহের সুরতহাল তৈরি করা হচ্ছে। আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।

(ঢাকাটাইমস/০৪নভেম্বর/এআর)