৩ সন্তানকে নিয়ে নদীতে ঝাঁপ দিলেন মা, জীবিত উদ্ধার ২

প্রকাশ | ০৫ নভেম্বর ২০২৩, ১৬:৫৩ | আপডেট: ০৫ নভেম্বর ২০২৩, ১৮:১৪

শরীয়তপুর প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস

পারিবারিক অশান্তির জেরে শরীয়তপুরের নড়িয়ায় তিন সন্তানকে নিয়ে কীর্তিনাশা নদীতে ঝাঁপ দিয়েছেন এক মা।

এ ঘটনায় দুজনকে উদ্ধার করছেন ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা। বাকিদের উদ্ধারে চেষ্টা চলছে। পারিবারিক কলহে এ ঘটনা ঘটিয়েছে বলে জানিয়েছেন ভুক্তভোগীর স্বজনরা।

রবিবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে উপজেলার জবসা ইউনিয়নের কীর্তিনাশা নদীতে এ ঘটনা ঘটে।

নদীপে ঝাঁপ দেওয়া মা হলেন- উপজেলার জবসা ইউনিয়নের মাইজপারা গ্রামের আজবাহার মাদবরের স্ত্রী ছালমা বেগম (২৫), তার ছেলে জাফর মাদবর (৭), মেয়ে আনিকা মাদবর (৩) ও ১০ মাস বয়সী ছেলে ছলেমান।

নিখোঁজ ছালমার মা শিরিনা বেগম বলেন, ছালমা শ্বশুর ও ননদের অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে সন্তানসহ নদীতে ঝাঁপ দিয়েছে। তার স্বামী ভালো মানুষ।

কিন্তু ননদ ও শ্বশুর তাকে নিয়মিত নির্যাতন করত। এ কারণে সকালে নদীতে ঝাঁপ দিয়ে ছালমা আত্মহত্যার চেষ্টা করে। পরে স্থানীয়রা থেকে আনিকা ও ছলেমানকে উদ্ধার করে শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে নিয়ে যায়। খবর পেয়ে নিখোঁজ ছালমা ও তার সাহাবীরকে উদ্ধারে চেষ্টা চালাচ্ছে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা।

এ বিষয় নড়িয়া উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শংকর চন্দ্র বৈদ্য বলেন, নদীতে ঝাঁপ দেওয়ার খবর শুনে ঘটনাস্থলে এসেছি। নিখোঁজদের উদ্ধারে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা চেষ্টা চালাচ্ছেন।

শরীয়তপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (নড়িয়া সার্কেল) আহসান হাবীব জানান, আমরা সাড়ে ১১টার দিকে খবর পাই। খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে এসেছি। প্রাথমিকভাবে জানতে পেরেছি সালমা নামের এক গৃহবধূ পারিবারিক কলহের জেরে তিন শিশুসন্তান নিয়ে নদীতে ঝাঁপ দিয়েছেন। দুই শিশুকে স্থানীয়রা উদ্ধার করতে পারলেও মা ও আরেক সন্তান নিখোঁজ রয়েছেন। তাদের উদ্ধারের চেষ্টা চলছে। ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল কাজ করছে।

ফায়ার সার্ভিসের নড়িয়ার লিডার রওশন জানান, আমরা সকাল সাড়ে ১১টার দিকে খবর পাই যে ভোজেশ্বর বাজার লঞ্চঘাট এলাকায় এক গৃহবধূ তার তিন সন্তানকে নিয়ে পানিতে ঝাঁপ দিয়েছেন। অতঃপর আমরা আসি এবং আমাদের এইখানে ডুবুরি দলের লোক না থাকায় মাদারীপুর ফায়ার স্টেশন থেকে ডুবুরি দলের লোক আনি এবং তারা সকাল থেকে এখন পর্যন্ত চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে এবং রাত হওয়া না পর্যন্ত আমরাই এই উদ্ধার কাজ চালিয়ে যাব।

(ঢাকাটাইমস/০৫ নভেম্বর/ইএইচ)