প্রধান বিচারপতির বাসভবনে হামলা: বিএনপির তিন আইনজীবী নেতার আগাম জামিন

প্রকাশ | ০৭ নভেম্বর ২০২৩, ১৫:৫৪ | আপডেট: ০৭ নভেম্বর ২০২৩, ১৬:২৪

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা টাইমস
জয়নুল আবেদীন, এএম মাহবুবউদ্দিন খোকন ও নিতাই রায় চৌধুরী।

সারা দেশে ২৮ অক্টোবরের সহিংসতার ঘটনায় রমনা থানায় দায়ের করা দুই মামলায় বিএনপির তিন নেতা ও সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী হাইকোর্ট থেকে আগাম জামিন পেয়েছেন। তারা হলেন-বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীন, অ্যাডভোকেট নিতাই রায় চৌধুরী ও যুগ্ম মহাসচিব এএম মাহবুবউদ্দিন খোকন।

 

একই সঙ্গে চার সপ্তাহ শেষে মহানগর দায়রা আদালতে তাদের আত্মসমর্পণের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।

 

মঙ্গলবার হাইকোর্টের বিচারপতি আবু তাহের মো. সাইফুর রহমান ও বিচারপতি মো. বশির উল্লার সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এই আদেশ দেন।

 

আইনজীবী হিসেবে ব্যক্তিগত সুনামের দিক বিবেচনায় নিয়ে আগামী তিন সপ্তাহের জন্য তাদের জামিন দেওয়া হয়। তবে এ জামিনের আদেশ অন্য আসামিদের আগাম জামিনের ক্ষেত্রে রেফারেন্স হিসেবে ব্যবহার করা যাবে না বলেও আদেশে উল্লেখ করেন উচ্চ আদালত।

 

এ সময় হাইকোর্ট বলেন, প্রধান বিচারপতির বাসায় হামলা বিচারবিভাগের হৃৎপিণ্ডে আঘাত। যা জাতির কাছে ভালো বার্তা দেয় না। আদালতকে নিরাপদ রাখতে এই প্রাঙ্গণের বাইরে গিয়ে রাজনৈতিক কর্মসূচি পালনের অনুরোধ জানান তিনি।

 

গত ২৮ অক্টোবর নয়াপল্টনে বিএনপির ডাকা মহাসমাবেশের দিন প্রধান বিচারপতির বাসভবনে হামলার অভিযোগে রমনা থানার পুলিশ পরিদর্শক মফিজুর রহমান মামলাটি করেন। এই মামলায় বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে গত ২৯ অক্টোবর কারাগারে পাঠানো হয়। মামলায় মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসসহ ৫৯ নেতাকর্মীকে আসামি করা হয়।

 

মামলার এজাহারে বলা হয়, গত ২৮ অক্টোবর বিএনপির মহাসমাবেশকে কেন্দ্র করে বিএনপির নেতাকর্মীরা বেলা ১টার সময় প্রধান বিচারপতির বাসভবনে হামলা ও ভাঙচুর চালান।

 

জামিন আবেদনকারীদের অন্যতম আইনজীবী সগীর হোসেন বলেন, জয়নুল আবেদীন, নিতাই রায় চৌধুরী ও এ এম মাহবুব উদ্দিন খোকন বয়স্ক ব্যক্তি। তারা জ্যেষ্ঠ আইনজীবী। তাদের বিরুদ্ধে মামলার এজাহারে সুনির্দিষ্ট কোনো অভিযোগ নেই। এসব যুক্তিতে তাঁদের আগাম জামিন চাওয়া হয়েছিল

 

(ঢাকাটাইমস/০৭নভেম্বর/এআর)