আগুন আতঙ্কেও থেমে নেই কর্মজীবীদের জীবনযাত্রা

প্রকাশ | ১২ নভেম্বর ২০২৩, ১২:৩৮

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা টাইমস

বিএনপি-জামায়াতের ডাকা চতুর্থ দফার অবরোধ কর্মসূচি শুরুর আগের রাতেই সারা দেশে নয়টি যানবাহনে আগুন দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। এর আগের তিন দফার অবরোধ কর্মসূচিতে সারাদেশে অসংখ্য যানবাহন আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। যথারীতি চতুর্থ দফার অবরোধ কর্মসূচি শুরুর আগেও জ্বালাও-পোড়াও হয়েছে। তবে আগুন আতঙ্কেও বের হতে হচ্ছে কর্মজীবীদের। অবরোধে মানিয়ে হওয়ার চেষ্টা করছেন তারা। 

রবিবার সকালে সরজমিনে রাজধানীর শাহবাগ, মোহাম্মদপুর ও মৎস্যভবন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, চতুর্থ দফার এই অবরোধের প্রথম দিনে স্বাভাবিক সময়ের তুলনায় সড়কে যানবাহন কম থাকলেও ভীড় ছিল যাত্রীদের। রিকশা, লেগুনা, সিএনজিসহ নানা কায়দায় গন্তব্যের দিকে ছুটছেন কর্মজীবীরা।

শনিবার রাতে আগুনে পুড়ে যাওয়া বাসের দৃশ্য দেখেও জীবিকার তাগিদে বের হয়েছেন এক প্রবীণ।  তিনি ঢাকা টাইমসকে বলেন, ‘ভয় তো আছেই। তবুও কর্মস্থলে তো যেতেই হবে। ভয় তো থাকবেই। ভয়ে ভয়ে তো আর জীবন চলবে না।’

এদিকে বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত সোবহান কবীর আগুনে বাস পোড়ানোর খবর দেখেন না। এগুলো দেখেও তার কোনো প্রতিক্রিয়া হয় না। কারণ কর্মস্থলে যেতেই হয়। তিনি ঢাকা টাইমসকে বলেন, ‘অবরোধ নিয়ে মাথাব্যাথা নাই। কারণ দেশের খোঁজখবর রাখলে মাথার চিন্তা আরও বাড়ে। নিজের পেট চালানো নিয়েই চিন্তা। অফিসে যেতে পারছি কি না সেটা নিয়েই চিন্তা করি।’

মালঞ্চ বাসে চেপে মোহাম্মদপুর থেকে পল্টন যাচ্ছেন হুমায়রা বিনতে ওয়াহিদ। তিনি ঢাকা টাইমসকে বলেন, ‘বাস তো পাওয়া যাচ্ছে। কিন্তু আতঙ্ক তো কাটে না। অফিসও তো বন্ধ করা যাবে না। তাই ঝুঁকি নিয়েই বের হতে হচ্ছে এবং হবেও।’
 
কাঙ্খিত বাস পেয়েই ছুটতে থাকা আদিল আহমেদ ঢাকা টাইমসকে বলেন, ‘অবরোধে কোথায় কোন বাসে আগুন দিচ্ছে এসবের খবর রাখি না। বের তো হতেই হয়। এগুলা দেখে আমার কী লাভ।’

রাজধানীর শাহবাগ মোড়ে দাঁড়িয়ে থাকা অফিসগামী শাহীন আলম ঢাকা টাইমসকে বলেন, ‘এখান থেকে সব বাস পাওয়া যায়। কিন্তু এই শাহবাগটাই সবচেয়ে বেশি ঝুঁকির জায়গা। আন্দোলন আর অবরোধ কিছুর ধাক্কা এখানেই লাগে। তাই এখান থেকে বাসে উঠতে গেলে চিন্তায় থাকতে হয় কখন কী ঘটে। কিন্তু চিন্তা করে তো পেট চলবে না। অফিসে যেতেই হবে।’

উল্লেখ্য, বর্তমান সরকারের পদত্যাগের এক দফা দাবি আদায়ে গত ২৮ অক্টোবরের সমাবেশ থেকে প্রথমে একদিনের হরতালের ডাক দেয় বিএনপি। একইদিনে একই কর্মসূচি দেয় জামায়াতে ইসলামীও। হরতাল পালনের পর থেকে চলতে থাকে বিএনপি ও জামায়াতের অবরোধ কর্মসূচি। রবিবার ভোর ৬টা থেকে শুরু হয়েছে সেই অবরোধ কর্মসূচির চতুর্থ ধাপ। চলবে মঙ্গলবার ভোর ৬টা পর্যন্ত।

(ঢাকাটাইমস/১২নভেম্বর/টিএ/এফএ)