একতরফা তফসিলে দেশের রাজনৈতিক সংকট আরও ঘনীভূত হবে: খেলাফত মজলিস

প্রকাশ | ১৫ নভেম্বর ২০২৩, ২০:০৭ | আপডেট: ১৫ নভেম্বর ২০২৩, ২৩:৩২

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস

দলনিরপেক্ষ সরকারের অধীনে জাতীয় নির্বাচনের দাবিকে উপেক্ষা করে তফসিল ঘোষণা করায় দেশের রাজনৈতিক সংকট আরও ঘনীভূত হবে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছে খেলাফত মজলিস।

বুধবার সন্ধ্যায় প্রধান নির্বাচন কমিশনার কর্তৃক একতরফাভাবে আগামী ৭ জানুয়ারি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে এ শঙ্কা প্রকাশ করে দলটি।

বুধবার খেলাফত মজলিসের কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদের সাপ্তাহিক এক বৈঠকে বলা হয়, দেশবাসী মনে করে বর্তমান সরকারের অধীনে কোনোভাবেই সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন সম্ভব নয়। এ সরকারে অধীনে অনুষ্ঠিত ২০১৪ সালে ভোটারবিহীন নির্বাচন ও ২০১৮ সালের নৈশভোটের নির্বাচন তারই প্রমাণ। দেশবাসীর দাবি ছিল দলনিরপেক্ষ সরকারের অধীনে জাতীয় নির্বাচনের ব্যবস্থা করা। কিন্তু সরকার গণদাবিকে উপেক্ষা করে বিগত দুটি নির্বাচনের মতো আরেকটি প্রহসনের নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতায় টিকে থাকতে চায়। আর সরকারের আজ্ঞাবহ নির্বাচন কমিশন ক্ষমতাসীনদের পরিকল্পনা বাস্তবায়নে লিপ্ত।

খেলাফত নেতৃবৃন্দ বলেন, বর্তমান নির্বাচন কমিশন আগেই ব্যর্থ হয়েছে। অতি সম্প্রতি অনুষ্ঠিত লক্ষ্মীপুর- ৩ ও ব্রাহ্মণবাড়ীয়া-২ এর উপনির্বাচনের কারচুপি ঠেকাতে পারেনি ইসি। এ দায় নিয়েই নির্বাচন কমিশনের পদত্যাগ করা উচিত ছিল। যারা ছোট ২টি উপনির্বাচন সুষ্ঠুভাবে করতে পারে না তাদের দ্বারা কিভাবে ৩০০ আসনে সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন সম্ভব? আজকে ঘোষিত একতরফা নির্বাচনের তফসিলের কারণে দেশের রাজনৈতিক সংকট আরো ঘনীভূত হবে। এর ফলে বিরাজমান সংঘাত ও সহিংসতা বৃদ্ধিসহ উদ্ভূত পরিস্থিতির দায় সরকার ও নির্বাচন কমিশনকেই বহন করতে হবে।

বৈঠকে দেশ ও জাতির স্বার্থে আগামী ৭ জানুয়ারি ২০২৪ তারিখে ঘোষিত একতরফা নির্বাচনের তফসিল বাতিল করে দলনিরপেক্ষ সরকারের ব্যবস্থা করে সব দলের অংশগ্রহণে একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের ব্যবস্থা করার জোর দাবি জানানো হয়। 

সংগঠনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আমীরে মজলিস মাওলানা আব্দুল বাছিত আজাদের সভাপতিত্বে ও মহাসচিব ড. আহমদ আবদুল কাদেরের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত বৈঠকে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন নায়েবে আমীর মাওলানা সাখাওয়াত হোসাইন, যুগ্ম মহাসচিব অধ্যাপক মো. আবদুল জলিল, প্রশিক্ষণ ও প্রকাশনা সম্পাদক অধ্যাপক কাজী মিনহাজুল আলম, মুফতি আবদুল হক আমিনী, মো. জিল্লুর রহমান, অধ্যাপক মাওলানা আজীজুল হক প্রমুখ।

ঢাকাটাইমস/১৫নভেম্বর/জেবি/ইএস