মুসলমানদের বিএনপিকে ভোট দেওয়া উচিৎ না: কাদের সিদ্দিকী
প্রকাশ | ১৭ নভেম্বর ২০২৩, ১৮:৩৯
ফিলিস্তিনে গণহত্যায় প্রত্যক্ষ সহযোগিতা দেওয়া আমেরিকার সমর্থন নিয়ে ক্ষমতায় যেতে চাওয়ায় বিএনপিকে ভোট না দিতে আহ্বান জানিয়েছেন কৃষক শ্রমিক জনতালীগের সভাপতি বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী।
তিনি বলেন, বিএনপিতে মুসলমান আছে কিনা জানি না। বিএনপি ভোটে দাঁড়ালেও আমেরিকার সমর্থন নেয়া বিএনপিকে মুসলমানদের ভোট দেয়া উচিত না।
শুক্রবার সকালে টাঙ্গাইলে মাওলানা ভাসানীর মৃত্যুবার্ষিকীতে তার মাজারে পুষ্পস্তবক অর্পণের পর মোনাজাত শেষে সাংবাদিকদের একথা বলেন তিনি।
বক্তব্যে ঢাকায় নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত পিটার হাসের ওপর নিষেধাজ্ঞা দেওয়া ও তাকে আইনের আওতায় আনারও দাবি জানিয়েছেন কাদের সিদ্দিকী।
বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে পিটার হাসের এতো দৌড়ঝাঁপ ভালো না মন্তব্য করে তিনি বলেন, অনেক দল থাকতেও পিটার হাস মাত্র তিনটি দলকে চিঠি দিয়ে দেশকে ভাগ করে দিয়েছেন। এতে সংবিধান লঙ্ঘন হয়েছে।
কাদের সিদ্দিকী বলেন, আমরা আমেরিকায় বসবাস করি না। আমরা বাংলাদেশে বাস করি। আমেরিকা স্যাংশন দেবে এই ভয়ে আমরা বিয়ে করব না, বউ তালাক দেব, মেয়ের বিয়ে হবে না ছেলের বিয়ে হবে এটা চিন্তা ভাবনা করা উচিৎ না। আমেরিকার রাষ্ট্রদূত পিটার হাসের বাংলাদেশের ইলেকশান নিয়ে এতা দৌড়াদৌড়ি ভালো না। এটা তার দেশ না। এটা আমাদের দেশ। তিনি মাত্র তিনটি দলকে চিঠি দিয়েছেন, দেশে কি আর কোনো দল নাই? আর কি কোনো মানুষ নাই? তিনি তিনটি দলকে চিঠি দিয়ে দেশকে ভাগ করে দিয়েছেন। এটি তিনি গর্হিত কাজ করেছেন, তিনি দেশের সংবিধান অনুযায়ী জঘন্য অপরাধ করেছে। এজন্য তাকে স্যাংশান দেয়া যেতে পারে এবং আইনের আওতায় আনা যেতে পারে।
তিনি আরও বলেন, এবার সব আসনে নির্বাচন করবে কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ। তবে আমাদের এতো প্রস্তুতি নেই। এতো বড় দলও আমরা না। সব প্রার্থী না দিতে পারলে অন্য দলের লোকজনকেও আমাদের গামছা উপহার দেব।
কাদের সিদ্দিকী বলেন, নির্বাচন হয় প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক। আওয়ামী লীগের সাথে জোট করলে নির্বাচন করব কার সঙ্গে। বিএনপি নির্বাচনে নাই, জাতীয় পার্টিও টানাটানি করছে। আমরা আওয়ামী লীগের সঙ্গে যদি জোট করি মানুষ ভোট দেবে কাকে। মানুষের ভোট দেয়ার জায়গা থাকবে না।
তিনি বলেন, দেশে নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা হয়েছে এতে অনেকেই খুশি না, আমিও না। কিন্তু তারপরেও বলব একটি গণতান্ত্রিক দেশে ৫ বছর পরপর অবাধ সুষ্ঠ নিরেপেক্ষ নির্বাচন দরকার। নির্বাচন কমিশনের যেনো বোধোদয় হয়, তারা যেনো প্রভাবমুক্ত নির্বাচন করে। যদি গত নির্বাচনের মতো নির্বাচন হয় তাহলে আওয়ামী লীগ বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবে।
এ সময় কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের জেলা উপজেলাসহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
(ঢাকাটাইমস/১৭নভেম্বর/ইএইচ)