আল শিফা হাসপাতালের নিচে সুড়ঙ্গের খোঁজ পাওয়ার দাবি ইসরায়েলের, হামাস বলছে মিথ্যা

প্রকাশ | ২০ নভেম্বর ২০২৩, ০৮:৫৪

আন্তর্জাতিক ডেস্ক, ঢাকা টাইমস

গাজার আল শিফা হাসপাতালের নিচে হামাসের ব্যবহৃত একটি ৫৫ মিটার লম্বা সুড়ঙ্গ খুঁজে পাওয়ার দাবি করেছে ইসরায়েল। ইতোমধ্যে সুড়ঙ্গের একটি ভিডিও ফুটেজ প্রকাশ করেছে ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ। তবে হামাস বলেছে, ইসরায়েলের দাবি ‘ভিত্তিহীন’। খবর আল জাজিরার।

ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী ইসরায়েল ডিফেন্স ফোর্সেস (আইডিএফ)-এর প্রকাশিত ভিডিওতে মাটিতে একটি গভীর গর্ত দেখা যায়, যা কংক্রিট ও কাঠের ধ্বংসস্তূপ ও বালি দিয়ে ঘেরা। তবে বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, আইডিএফের এ দাবি তারা যাচাই করতে পারেনি।

সুড়ঙ্গের ভিডিও ফুটেজ প্রকাশের পর এক বিবৃতিতে ইসরায়েল সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, সুড়ঙ্গটি ১০ মিটার গভীর এবং এটিতে বিস্ফোরণরোধী দরজাও রয়েছে। হামাস এ ধরনের দরজা ব্যবহার করে ইসরায়েলি বাহিনীকে তাদের কমান্ড সেন্টারে ঢুকতে বাধা দেয়ার জন্য। 

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, এই সুড়ঙ্গই প্রমাণ করে হাসপাতাল চত্বরে অনেক ভবনই হামাস তাদের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড আড়াল রাখার জন্য ব্যবহার করে।

এদিকে অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় হামাস তাদের শত শত কিলোমিটারের অনেক গোপন সুড়ঙ্গ, বাংকার থাকার কথা স্বীকার করলেও হাসপাতালের মতো জায়গায় তাদের কোনো সড়ঙ্গ নেই বলে বারবারই বলে আসছে। আল-শিফা হাসপাতালের নিচে সুড়ঙ্গ পাওয়ার দাবিকেও ‘ভিত্তিহীন’ বলছে হামাস।

অন্যদিকে, ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় ধ্বংস স্তুপে পরিনত হওয়া আল-শিফা হাসপাতাল থেকে ৩১ জন প্রিম্যাচিউরড নবজাতককে সফলভাবে অন্য একটি হাসপাতালে নেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)। 

আরব নিউজের এক প্রতিবেদন বলা হয়, রবিবার বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এবং জাতিসংঘের মানবিক সমন্বয় কার্যালয়ের যৌথ তত্তাবধানে ফিলিস্তিনি রেড ক্রিসেন্ট এই শিশুগুলোকে অবরুদ্ধ হাসপাতাল থেকে বের করে আনে। তাদের গাজার দক্ষিণাঞ্চলে একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে তাদের। 

প্রসঙ্গত, গত এক সপ্তাহ ধরে আল-শিফায় অভিযান চালায় ইসরায়েলি বাহিনী। প্রথমে তারা হাসপাতালটি ট্যাংক দিয়ে ঘিরে ফেলে। এরপর বেসামরিকদের সরে যেতে বলে। কিন্তু রোগী ও নবজাতকদের সরিয়ে ‘প্রায় অসম্ভব’ বলে জানায় বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। এরপর বুধবার হাসপাতালে ঢুকে তাণ্ডব চালায় ইসরায়েলি সেনারা। রবিবার থেকে সরানো হতে থাকে রোগী ও শিশুদের। 

উল্লেখ্য, গত ৭ অক্টোবর গাজা থেকে ইসরায়েলে নজিরবিহীন হামলা চালায় ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস। হামাসের হামলার পর গাজায় বিমান হামলা চালাচ্ছে ইসরায়েল। অব্যাহত বোমাবর্ষণের মধ্যেই এবার সেখানে বড় ধরনের স্থল হামলা শুরু করেছে দখলদার ইসরায়েলি সেনারা। ইসরায়েলের হামলায় এই উপত্যকায় এখন পর্যন্ত ১২ হাজারের বেশি মানুষের প্রাণহানি ঘটেছে। এদের মধ্যে অন্তত ৪ হাজার ৭০০ জনই শিশু।

(ঢাকাটাটাইমস/২০নভেম্বর/এমআর)