আত্মপক্ষে যুক্তি উপস্থাপন করতে শ্রম আদালতে ড. ইউনূস

প্রকাশ | ২০ নভেম্বর ২০২৩, ১৪:৩২ | আপডেট: ২০ নভেম্বর ২০২৩, ১৪:৩৮

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা টাইমস
ফাইল ফটো

শ্রম আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে দায়ের হওয়া মামলায় গ্রামীণ টেলিকমের চেয়ারম্যান এবং নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূস আত্মপক্ষ সমর্থনে যুক্তি উপস্থাপনের জন্য শ্রম আদালতে গেছেন। 

সোমবার দুপুর ১২টা ২০ মিনিটে জেলা ও দায়রা জজ শেখ মেরিনা সুলতানার আদালতে হাজির হন তিনি। আদালতে এখন যুক্তিতর্ক উপস্থাপন চলছে।

এর আগে গত বৃহস্পতিবার ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বিরুদ্ধে যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করা হয়। 

যুক্তিতর্ক উপস্থাপনে ড. ইউনূসের পক্ষে রয়েছেন ব্যারিস্টার আবদুল্লাহ আল মামুন ও ব্যারিস্টার খাজা তানভীর আহমেদ। অন্যদিকে কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান অধিদপ্তরের পক্ষে রয়েছেন আইনজীবী খুরশীদ আলম খান। 

এর আগে গত ৯ নভেম্বর শ্রম আদালতে হাজির হন ড. ইউনূসসহ গ্রামীণ টেলিকমের এমডি মো. আশরাফুল হাসান, পরিচালক নুরজাহান বেগম এবং মো. শাহজাহান। এ সময় ৩৪২ ধারায় ড. ইউনূসসহ ৪ আসামির আত্মপক্ষ সমর্থনের জবানবন্দিতে বলা হয়, শ্রম আইনের ২৩৪ ধারার বিধান লঙ্ঘিত হলে ২৩৬ ধারায় সরকার অনেকগুলো প্রতিকারের বিধান রেখেছে। শ্রম আইনের ২৩৬ ধারার উপরোক্ত বিষয়গুলো উল্লেখ না করে কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তর বিবাদী প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা দায়ের করতে পারে না। এটি সম্পূর্ণ আইনের লঙ্ঘন ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। এটি কোনোভাবেই ফৌজদারি অপরাধ না। 

উল্লেখ্য, ২০২১ সালের ৯ সেপ্টেম্বর ঢাকার তৃতীয় শ্রম আদালতে কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান অধিদপ্তরের শ্রম পরিদর্শক তরিকুল ইসলাম বাদী হয়ে ড. ইউনূসসহ চারজনের বিরুদ্ধে ওই মামলা করেন। মামলায় শ্রমিক কল্যাণ ফাউন্ডেশনে নির্দিষ্ট লভ্যাংশ জমা না দেওয়া, শ্রমিকদের চাকরি স্থায়ী না করা, গণছুটি নগদায়ন না করায় শ্রম আইনের ৪-এর ৭, ৮, ১১৭ ও ২৩৪ ধারায় অভিযোগ আনা হয়।

এ মামলায় ড. ইউনূস ছাড়াও গ্রামীণ টেলিকমের এমডি মো. আশরাফুল হাসান, পরিচালক নুরজাহান বেগম ও মো. শাহজাহানকে বিবাদী করা হয়েছে।

এরই মধ্যে চার সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ ও জেরা শেষ হয়েছে। গত ২ নভেম্বর চতুর্থ সাক্ষী, ২৬ অক্টোবর তৃতীয় সাক্ষী, ১৮ অক্টোবর দ্বিতীয় সাক্ষী, ১১ অক্টোবর মামলার বাদী এবং প্রথম সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হয়। এ মামলায় কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান অধিদপ্তরের পক্ষে শুনানি করেন সিনিয়র আইনজীবী সৈয়দ হায়দার আলী ও মো. খুরশীদ আলম খান।

গত ১১ অক্টোবর মামলার বাদী শ্রম পরিদর্শক তরিকুল ইসলামকে আসামিপক্ষের জেরা শেষ হয়। গত ২২ আগস্টে সাক্ষীর জবানবন্দি গ্রহণ করার পর তাকে জেরা করেন ড. ইউনূসের আইনজীবীরা। এরপর গত ৫, ১৩, ২০ ও ২৭ সেপ্টেম্বর এবং ৩ ও ১১ অক্টোবর সাক্ষীকে জেরা করেন ড. ইউনূসের আইনজীবী।

(ঢাকাটাটাইমস/২০নভেম্বর/এমআর)