‘জোম্বি ড্রাগ’ নিয়ে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের সতর্কবার্তা

যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে ব্যাপক মাত্রায় ছড়িয়ে পড়েছে মারাত্মক সিনথেটিক মাদক ‘জোম্বি ড্রাগ’ বা ‘ট্রাঙ্ক’। এটি কোনোভাবেই যেন বাংলাদেশে ছড়াতে না পারে সে বিষয়ে সতর্কতা জারি করেছে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর (ডিএনসি)।

মঙ্গলবার অধিদপ্তরের গোয়েন্দা শাখা থেকে জারি করা সতর্কবার্তায় বলা হয়, ‘জোম্বি’ ড্রাগ’ কোনো একক মাদকের নাম নয়। ‘জাইলাজিন’ নামের একটি ট্রাঙ্কুইলাইজার গরু বা ঘোড়ার ক্ষেত্রে চেতনানাশক হিসেবে ব্যবহার করা হয়।

সেই ওষুধ নিয়ে নেশা করছে যুক্তরাষ্ট্রের মাদকসেবীরা। প্রভাব ও স্থায়িত্ব বাড়ানোর জন্য কখনো কখনো এর সঙ্গে মেশানো হচ্ছে ফেন্টানিল, হেরোইন, কোকেনের মত অন্য মাদক। ওষুধটি যেহেতু ট্রাঙ্কুইলাইজার, সে জন্য এ মাদককে ট্রাঙ্কও বলা হয়।

মাদকটি মানবদেহে মারাত্মক ইনফেকশন, দৃষ্টিভ্রম- এমনকি মৃত্যু পর্যন্ত ঘটাতে পারে। এটি অল্প পরিমাণে সেবন করলে সেবনকারী বাস্তব ভুলে কল্পনার জগতে বিচরণ করে। সামান্য বেশি সেবনে মৃত্যুও ঘটতে পারে বলে সতর্কবার্তায় উল্লেখ করা হয়েছে।

বিষয়টি প্রথমে অধিদপ্তরের নজরে আনেন রাজশাহী অঞ্চলের উপ-পরিচালক (গোয়েন্দা) মোহা. জিল্লুর রহমান। তিনি গত ৩০ অগাস্ট এ বিষয়ে ১১ পাতার একটি প্রতিবেদন পাঠান ঢাকায় অধিপ্তরের প্রধান কার্যালয়ে।

প্রতিবেদনে জিল্লুর রহমান উল্লেখ করেন, যুক্তরাষ্ট্রে আড়াই লাখের বেশি বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত অভিবাসী রয়েছেন। দেশে তাদের যাতায়াত ছাড়াও অর্থনৈতিক যোগাযোগ আছে। তাই এটি সহজেই বাংলাদেশে প্রবেশ করার শঙ্কা রয়েছে।

অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা জানান, বাংলাদেশে ইয়াবা, ফেনসিডিল, গাঁজা, হেরোইন ও ইনজেকশনাল ড্রাগের আধিক্য বেশি। এগুলোর পাশাপাশি ইদানিং‘ট্যাপেন্ডাডল’ নামে আরেকটি মাদকের প্রাদুর্ভাব ঘটেছে দেশে, যেটি ইয়াবার বিকল্প হিসেবে মাদকবেসীরা সেবন করে।

এই ছয় ধরনের মাদক মূলত স্থল সীমান্তের মাধ্যমে দেশে প্রবেশ করে। সে কারণে সহজেই দেশে ছড়িয়ে পড়তে পারে।

অন্যদিকে এলএসডি, ডিওবি জাতীয় কিছু মাদক আছে যেগুলো আকাশপথে বাংলাদেশে আসে। বিমানবন্দর কেন্দ্রিক স্ক্যানিংসহ নানা সতর্কতার কারণে এসব মাদক এখনো দেশে ততটা সহজলভ্য হয়ে উঠতে পারেনি বলেও দাবি কর্মকর্তাদের।

(ঢাকাটাইমস/২২নভেম্বর/এমআর/এজে)