বিয়ে হয়নি, নোবেল আমাকে নেশা করিয়ে ছবিগুলো তুলেছে: আরশি

প্রকাশ | ২২ নভেম্বর ২০২৩, ১৯:৪৫ | আপডেট: ২২ নভেম্বর ২০২৩, ১৯:৪৮

বিনোদন প্রতিবেদক, ঢাকা টাইমস

বিতর্ক ও কণ্ঠশিল্পী মইনুল আহসান নোবেল যেন একই সুতোয় গাঁথা। মাঝে মাঝেই অস্বাভাবিক সব কাণ্ড ঘটিয়ে আলোচনায় আসেন তিনি। সম্প্রতি ফেসবুকে চতুর্থ বিয়ের খবর জানিয়ে ফের আলোচনায় নোবেল। ফেসবুকে তিনি জানিয়েছেন ফারজান আরশির সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হয়েছেন। তবে এ নিয়ে এতদিন গায়কের নয়া স্ত্রীর বক্তব্য পাওয়া না গেলেও বুধবার নিজের ফেসবুক আইডিতে দেওয়া এক পোস্টে বিয়ের কথা অস্বীকার করলেন তিনি।

দীর্ঘ ওই স্ট্যাটাসে আরশি লিখেছেন, ‘আমি ফারজান আরশি। আপনাদের যাকে নিয়ে অনেক কৌতূহল। এখন এমন একটা পরিস্থিতিতে আছি যে আমার সবকিছু স্বাভাবিক নেই। আমি মানসিকভাবে অনেক ভেঙে পড়েছি তারপরও আপনাদের সঙ্গে সবকিছু শেয়ার করছি সবকিছু ক্লিয়ার করার জন্য। আমি খুলনায় বিভিন্ন ব্লগ করে থাকি, সেজন্য একটি ভিডিও কনটেন্ট বানানোর উদ্দেশ্যে নোবেলের বাড়ি গোপালগঞ্জ যাই। আমার সঙ্গে আমার এক বান্ধবীও ছিল। ওখানে যাওয়ার পর পরিস্থিতি অন্যরকম হয়ে যায়। নোবেল তার মায়ের সামনেই আমার গলায় ছুরি ধরে এবং আমার ফোনটি কেড়ে নেয় এবং জোর করে আমাকে ঢাকায় তার বাসায় নিয়ে যায়। আমাকে বিভিন্ন ড্রাগ জোর করে সেবন করায় এবং মারধর করে। আমি পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করতে চাইলে আমাকে মেরে ফেলার হুমকি দেয়।’

এরপর তিনি লেখেন, ‘পরে ডেমরা থানায় আমাকে দিয়ে ভয় দেখিয়ে একটা জিডি করায়। পরে পুলিশের সহযোগিতায় আমাকে আমার বাবা এবং কাজিন উদ্ধার করতে গেলে আমাকে মেরে ফেলার হুমকি দেয়। আমি নোবেলের কথামতো ভয়ে পুলিশকেও মিথ্যা বলি তখন আমার শরীরে ড্রাগ পুশ করা ছিল। পরে গোপালগঞ্জ থেকে আমার পরিবার আমাকে উদ্ধার করে।’

 

আরশি আরও লিখেছেন, ‘নোবেল জোর করে নেশা করিয়ে আমাকে দিয়ে উক্ত ছবিগুলো তুলেছে। নোবেলের সাথে আমার কোনোপ্রকার বিয়ে হয়নি এবং কোনো সম্পর্কও নেই। আমি পরিবেশ এবং পরিস্থিতির স্বীকার।’

সবশেষে লিখেছেন, ‘আমি এবং আমার পরিবার খুব ভয়ভীতির মধ্যে আছি। আমি কর্তৃপক্ষের সহযোগিতা চাচ্ছি। আমি একজন মেয়ে। আমার পরিবার নিয়ে স্বাভাবিক জীবনযাপন করতে চাই।’

এদিকে সংবাদমাধ্যমকে ঢাকা মহানগর ডেমরা জোনের সহকারী কমিশনার মধুসূদন দাশ জানান, কিছুদিন আগে ফারজান আরশির বাবা এসে জানান, তার মেয়েকে গায়ক নোবেল জোর করে তুলে এনেছেন। পরে আরশি এসে জানান, তার বাবার অভিযোগ মিথ্যা। নোবেল তাকে তুলে আনেননি। তিনি ২২ বছরের তরুণী। নিজেই নোবেলের সঙ্গে এসেছেন। এরপর আর কেউ কিছু জানাননি বলে মন্তব্য করেন সহকারী কমিশনার মধুসূদন দাশ।

(ঢাকাটাইমস/২২নভেম্বর/এলএম)