ফুটবল জাদুকর ম্যারাডোনাকে হারানোর তিন বছর

প্রকাশ | ২৫ নভেম্বর ২০২৩, ১২:১৬

ক্রীড়া ডেস্ক, ঢাকা টাইমস

বিশ্ব ফুটবলের কিংবদন্তি ফুটবলার দিয়েগো আরমান্দো ম্যারাডোনা। সেরা ফুটবলারদের মধ্যে ম্যারাডোনার স্থান অনেক ওপরে। কারো কাছে তিনি আবার পরিচিত সাক্ষাত ঈশ্বর হিসেবেও।  কারো কাছে সবর্কালের সেরা ফুটবলার আবার কারো কাছে তিনি বিদ্রোহী। যেভাবেই ডাকা হোক না কেন, তিনি দিয়েগো ম্যারাডোনা। হাসি-আনন্দে ব্যস্ত থাকা এই কিংবদন্তি এখন ধরাছোঁয়ার বাইরে। ২০২০ সালের ২৫ নভেম্বর ৬০ বছর বয়সে মারা যান ফুটবল জাদুকর ম্যারাডোনা। আর্জেন্টাইন এ মহাতারকার তৃতীয় মৃত্যুবার্ষিকী আজ (শনিবার, ২৫ নভেম্বর)।

ম্যারাডোনাকে হারানোর পর থেকে পৃথিবীতে বদল হয়েছে অনেককিছুই। তার প্রিয় দেশ আর্জেন্টিনা দীর্ঘদিনের ট্রফিখরা ঘুচিয়েছে, তিন যুগ পর বুঝে পেয়েছে বিশ্বকাপের শিরোপা। তারই একসময়ের শিষ্য মেসি জিতেছেন ৮ম ব্যালন ডি অর। তবে না থেকেও এসবের সবখানেই ছিলেন ম্যারাডোনা। 

১৯৬০ সালের ৩০ অক্টোবর আর্জেন্টিনার বুয়েনস আইরেস প্রদেশের লানুস শহরে জন্মগ্রহণ করেন আর্জেন্টাইন এই জাদুকর। দক্ষিণ প্রান্তের শহর ভিয়া ফিওরিতোতে তার বেড়ে ওঠা। তিন কন্যা সন্তানের পর তিনিই ছিলেন মা-বাবার প্রথম পুত্র সন্তান। তার ছোট দুই ভাই হুগো এবং রাউলও পেশাদার ফুটবল খেলোয়াড়।

মাত্র দুই দশকের পেশাদার ক্যারিয়ারে ম্যারাডোনা খেলেছেন ছয়টি ক্লাবে। ১৬ বছর বয়সে পা দেওয়ার ঠিক দশদিন আগে নিজ শহরের ক্লাব আর্জেন্টিনোস জুনিয়র্সের হয়ে অভিষেক ঘটে তার, বর্তমানে যাদের হোম গ্রাউন্ডের নামকরণ হয়েছে ম্যারাডোনারই নামে।

ক্লাব ক্যারিয়ারে বোকা জুনিয়র্স, বার্সেলোনা, নাপোলিসহ নানা ক্লাবে খেলেছেন তিনি। তার উল্লেখযোগ্য ঘটনা হলো নাপোলিকে একক কৃতিত্ব চ্যাম্পিয়ন করা। তিনি ক্লাবটির অধিনায়কত্ব গ্রহণ করে ক্লাবটিকে নিয়ে যান ইতিহাসের সফলতম পর্যায়ে।

১৯৮৬ বিশ্বকাপে তার অসাধারণ নৈপুণ্যে বিশ্বকাপ জেতে আর্জেন্টিনা। সেই আসরে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে করেছিলেন ‘হ্যান্ড অব গড গোল’ ও শতাব্দীর সেরা গোলটি। এরপর ১৯৯০ বিশ্বকাপেও দলকে তুলেছিলেন ফাইনালে। এই আসরে ডোপ টেস্টে পজিটিভ হন এই ফুটবল কিংবদন্তি। ফলে ১৫ মাসের নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে ফিরলেও স্বাভাবিক ছন্দে দেখা যায়নি ম্যারাডোনাকে। ২০ বছরের আন্তর্জাতিক ও ক্লাব ক্যারিয়ারে আর্জেন্টাইন এই মহাতারকা মোট গোল করেছেন ৩৪৬টি। 

২০০৮ সালে ম্যারাডোনা জাতীয় দলের প্রধান কোচ হন। তবে ২০১০ বিশ্বকাপে জার্মানির কাছে হেরে আর্জেন্টিনা কোয়ার্টার ফাইনাল থেকেই বিদায় নেয়। ব্যর্থ বিশ্বকাপের পর আর্জেন্টিনার কোচের পদ থেকে অবসর নেন ম্যারাডোনা। তবে ক্যারিয়ারের একটা বড় সময় জুড়ে তিনি মাদকের সমস্যা নিয়ে ভুগেছেন।

২০২০ সালে বুয়েন্স আইরেসের হাসপাতালের আইসোলেশনে নিজের ৬০তম জন্মদিন পালন করেন তিনি। তবে এক মাসের মধ্যেই না-ফেরার দেশে পাড়ি জমান ‘এল দিয়াগো’। ২০২০ সালের ২৫ নভেম্বর মারা যান ম্যারাডোনা।
 
(ঢাকাটাইমস/২৫ নভেম্বর/এনবিডব্লিউ)