মাগুরায় মুক্তিযোদ্ধার ভুয়া সনদ দিয়ে সরকারি চাকরির অভিযোগ

প্রকাশ | ২৫ নভেম্বর ২০২৩, ১৮:১৪

মাগুরা প্রতিনিধি, ঢাকা টাইমস

মাগুরায় ভুয়া সনদ জমা দিয়ে মুক্তিযোদ্ধা কোটায় চাকরি করার অভিযোগ উঠেছে সদর উপজেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলী অফিসের ক্লার্ক কাম টাইপিস্ট সোহেল রানার বিরুদ্ধে। গত ১০ বছর ধরে তিনি এ পদে চাকরি করছেন বলে জানা গেছে।

সোহেল রানা মাগুরার মহম্মদপুর উপজেলার বিনোদপুর ইউনিয়নের তল্লাবাড়িয়া গ্রামের আলতাব হোসেনের ছেলে।  

এ বিষয়ে সোহেল রানা বলেন, ২০১০ সালে এইচএসসি দ্বিতীয়বর্ষে পড়ার সময় নড়াইল জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অফিসে মাস্টাররোলে চাকরি নেন তিনি। চার বছর পর ২০১৪ সালে মুক্তিযোদ্ধা কোটায় মাস্টাররোল থেকে রাজস্বখাতে গিয়ে ফরিদপুরের বোয়ালমারি জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অফিসে যোগদান করেন তিনি। ২০১৬ সালে মাগুরা সদর উপজেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অফিসে যোগদান করেন।

মুক্তিযোদ্ধার কোন সনদ না থাকা সত্ত্বেও কিভাবে মুক্তিযোদ্ধা কোটায় চাকরি পেলেন জানতে চাইলে সোহেল রানা বলেন, নূরুজ্জামান চাচার মাধ্যমে আমরা কয়েকজন চাকরি পেয়েছি। পুলিশ ভেরিফিকেশন কিভাবে হলো জানতে চাইলে তিনি জানান, পুলিশ ভেরিফিকেশন করে নিছি। তবে তার পরিবারের কেউ মুক্তিযোদ্ধা নয় বলে জানান সোহেল রানা।  

সোহেল রানার বাবা আলতাফ হোসেন জানান, তিনি বা তার বাবা কেউই মুক্তিযোদ্ধা নয়।  সোহেল রানার চাকরি মুক্তিযোদ্ধা কোটায় কিভাবে হলো জানতে চাইলে তিনি বলেন, চাকরির সময় অন্য লোকের সার্টিফিকেট জমা দিয়েছে।

এ বিষয়ে জানতে মাগুরা সদরের উপ-সহকারী প্রকৌশলী মো. বাসারুল ইসলাম, মাগুরার নির্বাহী প্রকৌশলী (চলতি দায়িত্ব) মো. আবু বক্কর সিদ্দিক ও জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর খুলনা সার্কেলের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মো. বাহার উদ্দিন মৃধা বরাবর তথ্য অধিকার প্রাপ্তি ফরমের মাধ্যমে আবেদন করলেও তারা কোন তথ্য প্রদান করেননি।

(ঢাকাটাইমস/২৫ নভেম্বর/ইএইচ)