এবার ইমরান খানের বিরুদ্ধে ‘প্রতারণামূলক বিয়ের’ মামলা

প্রকাশ | ২৬ নভেম্বর ২০২৩, ১০:৫১

আন্তর্জাতিক ডেস্ক, ঢাকা টাইমস

পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও পিটিআই চেয়ারম্যান ইমরানের খান ও তার স্ত্রী বুশরা বিবির বিরুদ্ধে প্রতারণামূলক বিয়ের অভিযোগ এনে এ মামলা দায়ের করা হয়। বুশরা বিবির সাবেক স্বামী খাওয়ার ফরিদ মানেকা তাদের বিরুদ্ধে এ মামলা দায়ের করেন।

পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম ডনের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শনিবার ইসলামাবাদ পূর্ব সিনিয়র সিভিল জজ কুদরতুল্লাহর আদালতে ৩৪ (সাধারণ অভিপ্রায়), ৪৯৬ (অবৈধ বিয়ে) এবং ৪৯৬বি (ব্যভিচার)-এর অধীনে অভিযোগ দায়ের করেছেন মানেকা। 

আদালতে ফরিদ মানেকা বলেন, ইমরান খান বুশরা বিবিকে বিয়ে করায় আমার জীবন নষ্ট হয়ে গেছে। এজন্য তিনি ইমরান খানকে দায়ী করে তাদের কঠিন সাজার আবেদনও করেন।  

তিনি আরও জানান, ‘২০১৪ সালের দিকে বুশরার বোনের মাধ্যমে ইমরান খানকে তার পরিবারের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেয়া হয়। এরপর থেকেই আমার অনুপস্থিতিতে ইমরান খান আমার বাড়িতে ঘণ্টার পর ঘণ্টা সময় কাটাতেন। যা ছিল অনৈতিক এবং অপ্রত্যাশিত। এছাড়া ইমরান খান বুশরাকে ফোনও করতেন। বুশরার সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করার জন্য ইমরান খান তাকে আলাদা ফোন নম্বরও দিয়েছিল।’ 

মানেকা দাবি করেন, ২০১৭ সালের ১৪ নভেম্বর এক প্রকার মনের বিরুদ্ধে গিয়ে বুশরাকে তালাক দেন তিনি। কিন্তু বুশরার ইদ্দতকাল (স্ত্রী তালাক প্রাপ্তা হলে যে সময়ের জন্য অন্য কোথাও বিবাহ করতে পারে না তাকে “ইদ্দত” বলে)। পালন না হওয়ার আগেই ২০১৮ সালের ১ জানুয়ারি বুশরা ইমরান খানকে বিয়ে করেন। সে অনুযায়ী বুশরার ইদ্দতকাল পালন শেষ হয়নি। যা ইসলামিক ও রাষ্ট্রীয় আইনে বিয়ে অবৈধ। 

মানেকার আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে মামলায় উল্লিখিত তিন সাক্ষীকে নোটিশ জারি করেন আদালত। তাদের মধ্যে রয়েছেন, ইস্তেখাম-ই-পাকিস্তান পার্টির সদস্য আউন চৌধুরী, নিকাহ পরিচালনাকারী মুফতি মুহাম্মদ সাঈদ এবং মানেকার বাড়ির কর্মচারী লতিফ। তাদের ২৮ নভেম্বর আদালতে হাজির হওয়ার নির্দেশ দেন। 

প্রসংগত, ২০২২ সালের এপ্রিলে ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর থেকে ইমরানের বিরুদ্ধে দেড় শতাধিক মামলা করা হয়েছে। ইমরান খান বরাবরই তার বিরুদ্ধে অভিযোগগুলো অস্বীকার করে আসছেন। অভিযোগগুলো রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলেও দাবি করে আসছেন তিনি।

সবশেষ গত ৫ আগস্ট তোশাখানা মামলায় ইমরান খানকে তিন বছরের কারাদণ্ড দিয়েছে দেশটির একটি বিচার আদালত। আদালত রায় দেওয়ার পরই তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। এরপর থেকে এখন পর্যন্ত কারাগারেই রয়েছেন পাকিস্তানের সাবেক এই প্রধানমন্ত্রী।

(ঢাকাটাইমস/২৬নভেম্বর/এমআর/এআর)