ব্রিকসে পাকিস্তানের সদস্য হতে ভারতের আপত্তি, রাশিয়ার সহায়তা কামনা

প্রকাশ | ২৬ নভেম্বর ২০২৩, ১১:২৬

আন্তর্জাতিক ডেস্ক, ঢাকা টাইমস

ব্রাজিল, রাশিয়া, চীন, দক্ষিণ আফ্রিকা ও ভারত বিশ্বের উদীয়মান অর্থনীতির এ পাঁচটি দেশ নিয়ে গঠিত জোট ব্রিকেসের সদস্য পদ চেয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে আবেদন করেছে পাকিস্তান। দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মমতাজ জাহরা বালোচ আনুষ্ঠানিকভাবে জোটে ইসলামাবাদকে যুক্ত করার জন্য আবেদনের বিষটি নিশ্চিত করেন। 

শুক্রবার কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরা এ তথ্য জানায়।

প্রতিবেদনে বলা হয়, বৃহস্পতিবার ইসলামাবাদে অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলনে মমতাজ জাহরা বলেন, আমরা বিশ্বাস করি ব্রিকসে যুক্ত হতে পারলে পাকিস্তান আন্তজাতিক সম্পর্ক ও বহুপক্ষীয় অংশগ্রহণে আরও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারবে। আমরা আরও আশা করছি ব্রিকস অবশ্যই পাকিস্তানের আবেদনকে গুরুত্ব দেবে।

তিনি আরও বলেন, ব্রিকসের অধিকাংশ দেশের সঙ্গে পাকিস্তানের উষ্ণ সম্পর্ক রয়েছে। 

এদিকে সম্প্রতি রাশিয়ায় নিযুক্ত পাকিস্তানের রাষ্ট্রদূত মোহাম্মাদ খালিদ জামিল রুশ বার্তা সংস্থা তাসকে একটি সাক্ষাৎকার দিয়েছেন, সেখানে তিনি ব্রিকসের সদস্য পদ পাওয়ার জন্য আবেদন জানিয়েছেন বলে জানান। তার এই মন্তব্যের দুইদিন পরই পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র বিষয়টি আনুষ্ঠানিকভাবে নিশ্চিত করেছেন। 

রাষ্ট্রদূত আরও বলেন, পাকিস্তান গুরুত্বপূর্ণ এই সংস্থার অংশ হতে চায়। এজন্য ব্রিকসের সকল দেশগুলোর সঙ্গে আমরা যোগাযোগ চালিয়ে যাচ্ছি। বিশেষ করে এক্ষেত্রে রাশিয়ার সহযোগিতা নেয়া হচ্ছে। 

তবে মস্কোয় নিযুক্ত রাষ্ট্রদূত জামালির এ বক্তব্য নিয়ে পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় কোনো মন্তব্য করেনি

প্রসঙ্গত, ব্রিকসের বর্তমান সভাপতি দক্ষিণ আফ্রিকা। আগামী বছর সভাপতির পদ পাচ্ছে রাশিয়া।

ব্রিকসের সর্বশেষ সম্মেলন গত আগস্টে দক্ষিণ আফ্রিকায় অনুষ্ঠিত হয়। এ সম্মেলনে প্রায় ৪০টি দেশ ব্রিকসে যোগদানের আগ্রহ জানায়। এর মধ্যে ছয়টি দেশ আগামী বছর থেকে ব্রিকসে যোগ দিচ্ছে বলে জানানো হয়। দেশগুলো মধ্যে রয়েছে- মিশর, ইউথোপিয়া, আর্জেন্টিনা, সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত ও ইরান। 

তিনদিনের এ সম্মেলনে যোগ দিয়েছিলেন পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রণালয় কমিটির সিনেটর মুশাহিদ হোসাইন সাঈদ। তিনি আল জাজিরাকে বলেন, বিশ্ব এখন আঞ্চলিকতার দিকে এগিয়ে যাচ্ছে এবং একে অপরের সঙ্গে সম্পর্ক জোরদার করছে। ফলে ব্রিকসে যোগদানে সরকার যে পদক্ষেপ নিয়েছে তাতে সাধুবাদ জানানো হয়েছে। 

এদিকে পররাষ্ট্রনীতিবিষয়ক বিশ্লেষকরা মনে করেন, পাকিস্তান ব্রিকসে যোগ দেয়ার ক্ষেত্রে প্রধান বাধা হতে পারে ভারত। দুই দেশের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে চলমান রাজনৈতিক সংঘাত পাকিস্তানের জন্য এটি চ্যালেঞ্জিং হয়ে দাড়াবে।   এ ছাড়াও ভারত-চীন সম্পর্ক কেমন যাচ্ছে, তার ওপরই ভারতের বিরোধিতা করা না করার বিষয়টি নির্ভর করছে।

(ঢাকাটাইমস/২৬নভেম্বর/এমআর)