যুবদল নেতাকে ডান্ডাবেড়ি পরিয়ে চিকিৎসা, হাইকোর্টের নজরে আনলেন আইনজীবীরা

প্রকাশ | ২৯ নভেম্বর ২০২৩, ১৫:৩৫

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা টাইমস

কারাগারে হৃদরোগে আক্রান্ত যশোর জেলা যুবদলের সহসভাপতি মো. আমিনুর রহমান মধুকে হাতকড়া ও ডান্ডাবেড়ি পরানো অবস্থায় হাসপাতালের মেঝেতে রেখে চিকিৎসা দেওয়ার ঘটনা হাইকোর্টের নজরে আনা হয়েছে।

বুধবার বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি মো. আতাবুল্লাহর হাইকোর্ট বেঞ্চে বিষয়টি নজরে আনেন সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল এ জে মোহাম্মদ আলী। জাতীয় পত্রিকায় প্রকাশিত এ সংক্রান্ত একটি প্রতিবেদন আদালতে পড়ে শোনান তিনি।

এ সময় ব্যারিস্টার কায়সার কামাল, ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল, অ্যাডভোকেট গাজী কামরুল ইসলাম সজলসহ বিএনপিপন্থি আইনজীবীরা উপস্থিত ছিলেন।

বিএনপির এই আইনজীবী পত্রিকা দেখিয়ে হাইকোর্টকে বলেন, ‘হাসপাতালের মেঝেতে যন্ত্রণায় কাতরাচ্ছেন ওই যুবদল নেতা। গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় দুই পা ভাঁজ করে শুয়ে আছেন। ডান্ডাবেড়ি থাকাতে দুই পা সোজাও করতে পারছেন না। এক হাতে ঝুলছে হাতকড়া। অন্য হাতে ইনজেকশনের ক্যানোলা। দুই পায়ের মাঝখানে ঝুলছে ক্যাথেডার। রক্তমিশ্রিত প্রস্রাব সেখানে জমা হচ্ছে।

আইনজীবী মোহাম্মদ আলী বলেন, ‘আমার বিরুদ্ধে ১০০টা কেস থাকুক, তাতে আমার সমস্যা নেই। কিন্তু ডান্ডাবেড়ি পরানো হবে, এটা কেমন কথা! ডান্ডাবেড়ি পরিয়ে হাসপাতালে আনা হবে, স্বাধীন দেশে এগুলো কেন করা হবে? আপনি একটি স্বপ্রণোদিত আদেশ দিন।’

এ সময় হাইকোর্ট বলেন, ‘এগুলো তো সেটেল হয়ে গেছে। ৫৪ ধারা সেটেল হয়ে গেছে। তারপরও হচ্ছে।’ তখন এজে মোহাম্মদ আলী বলেন, ‘আমাদের এটার সমাধান বের করতে হবে। আমরা কি থার্ড ক্লাস সিটিজেন?’ পরে হাইকোর্ট বলেন, ‘আপনারা রিট আকারে আসুন। আমরা সুয়োমুটো আদেশ দেবো না।’

গত ২৮ অক্টোবর ঢাকায় বিএনপির মহাসমাবেশের পর আমিনুর রহমানের বিরুদ্ধে যশোর কোতোয়ালি থানায় বিশেষ ক্ষমতা আইনে চারটি মামলা দায়ের করে পুলিশ। ২ নভেম্বর সদর উপজেলার আমদাবাদ কলেজ থেকে আমিনুরকে গ্রেপ্তার করে যশোর কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হয়।

এরপর কারাগারে হৃদরোগে আক্রান্ত হলে তাকে প্রথমে যশোর জেনারেল হাসপাতালের সিসিইউতে এবং পরে অবস্থার অবনতি হলে ঢাকার জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়। সেখানে ১৩ দিন চিকিৎসাধীন ছিলেন তিনি। তবে তার পায়ের ডান্ডাবেড়ি খোলা হয়নি। এমনকি খাওয়ার সময় হাতকড়াও খোলা হয়নি।

(ঢাকাটাইমস/২৯নভেম্বর/এসএম/এজে)