ঈশ্বরদীতে ট্রেনে অগ্নিসংযোগকারী দগ্ধ সুমন গ্রেপ্তার

প্রকাশ | ৩০ নভেম্বর ২০২৩, ২০:১৫ | আপডেট: ৩০ নভেম্বর ২০২৩, ২০:৪৪

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা টাইমস

পাবনার ঈশ্বরদী রেলওয়ের ওয়াশফিডে অপেক্ষমান ট্রেনের বগিতে আগুন দেওয়ার ঘটনায় সুমন হোসেন নামের এক নাশকতাকারীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

বুধবার বিকালে শহরের ফতেমোহাম্মাদপুর রেলওয়ে হাসপাতাল মোড় থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে ঈশ্বরদী থানা পুলিশ।

সুমন ঈশ্বরদী জেলার রহিমপুর গ্রামের মৃত তাইজুল ইসলামের ছেলে।

পুলিশ জানায়, গত ২৭ নভেম্বর রাত সোয়া ৮টার দিকে ঈশ্বরদী রেলওয়ের ওয়াশফিডে অপেক্ষমান ট্রেনের বগিতে পেট্রল দিয়ে আগুন ধরিয়ে পালিয়ে যান সুমন ও তার সহযোগীরা। আগুন ধরিয়ে দেওয়ার সময় সুমন অগ্নিদগ্ধ হন।

পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে সুমন ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেছেন। তিনি জানান, ঈশ্বরদী পৌর যুবদলের সদস্য রুবেল, ঈশ্বরদী পৌর যুবদলের ১নং ওয়ার্ড সাধারণ সম্পাদক শাহিন, পিকেটার মামুন ও রাসেল তার সঙ্গে আগুন দেওয়ার ঘটনায় জড়িত।

পুলিশ জানায়, জড়িত সবাই ঈশ্বরদী থানা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক জাকির হোসেন ও সদস্য সচিব মেহেদী হাসানের ছত্রছায়ায় বিএনপি-জামায়াতের হরতাল ও অবরোধকালীন সময়ে নানা ধরনের নাশকতামূলক কর্মকাণ্ডের সঙ্গে প্রত্যক্ষভাবে সম্পৃক্ত থাকেন।

এরই ধারাবাহিকতায় বিএনপি নেতা মেহেদী ও জুয়েলের নির্দেশে অবরোধ সফল করার জন্য ট্রেনে আগুন দেওয়া হয়। আগুন দিলে সুমন ও তার সহযোগীরা তিন হাজার টাকা পাবেন বলে জানানো হয়।

পরিকল্পনামত আসামি শাহিন ও মামুন পেট্রল কিনে আনেন। পরে সবাই ঘটনাস্থলে গিয়ে ট্রেনটি লাইনে দাঁড়ানো অবস্থায় দেখতে পান। আসামি রাসেল জানালা দিয়ে ট্রেনে প্রবেশ করে ট্রেনের দরজা খুলে দিলে তারা সবাই ট্রেনে ওঠেন। সুমন, শাহিন ও মামুন চাকু দিয়ে ট্রেনের সিট কেটে পেট্রল ঢালেন। সুমন ম্যাচ জালিয়ে আগুন দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে সিটে আগুন ধরে যায়। এসময় আগুনের ফুলকি বাম হাতে, গলায় ও মুখে লেগে দগ্ধ হন সুমন।

এদিকে আগুনের ঘটনায় কোচটি ভেতরের ১১টি সিট পুড়ে ক্ষতিগ্রস্থ হয়। এই ঘটনায় রেলওয়ের স্টেশন সুপারিন্টেন্ড (এসএস) মো. মহিউল ইসলাম বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা সাতজনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন।

(ঢাকাটাইমস/৩০নভেম্বর/এইচএম)