ঢাবিতে বিজয় র্যালি অনুষ্ঠিত
প্রকাশ | ০১ ডিসেম্বর ২০২৩, ১৫:১৯
মহান বিজয় দিবস ২০২৩ উদযাপন উপলক্ষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্যোগে বিজয় র্যালি অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শুক্রবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্মৃতি চিরন্তন চত্তরে বেলুন উড়িয়ে বর্ণাঢ্য এই র্যালির উদ্বোধন করেন ঢাবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল। পরে উপাচার্যের নেতৃত্বে র্যালিটি সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের স্বাধীনতা চত্বরে গিয়ে শেষ হয়।
এই বিজয় র্যালিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ সামাদ, সিনেট ও সিন্ডিকেট সদস্য, রেজিস্ট্রার, বিভিন্ন অনুষদের ডিন, বিভিন্ন হলের প্রাধ্যক্ষ, বিভিন্ন ইনস্টিটিউটের পরিচালক, বিভিন্ন বিভাগের চেয়ারম্যান, প্রক্টর, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতিসহ বিভিন্ন সমিতির নেতৃবৃন্দ, শিক্ষক, শিক্ষার্থী, অ্যালামনাই, কর্মকর্তা ও কর্মচারিরা অংশগ্রহণ করেন।
বিজয় র্যালি শেষে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের স্বাধীনতা চত্বরে এক সংক্ষিপ্ত বক্তব্য দেন উপাচার্য।
উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল বলেন, তরুণ ও যুবসমাজকে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, মহান মুক্তিযুদ্ধ এবং বিজয়ের সঠিক ইতিহাস সম্পর্কে জানতে হবে। যারা আজও এদেশের গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া ব্যহত করতে তৎপর রয়েছে তাদের সকল অপচেষ্টা মোকাবেলা করে এবং বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ধারণ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশের উন্নয়নের ধারা অব্যহত রাখতে হবে।
উপাচার্য আরও বলেন, স্বাধীনতা অর্জনের মাধ্যমে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান অসাম্প্রদায়িক, গণতান্ত্রিক, উন্নত ও সমৃদ্ধ সোনার বাংলা বিনির্মাণের স্বপ্ন দেখেছিলেন। বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যার মধ্য দিয়ে দেশবিরোধী অপশক্তি আমাদের সর্বশ্রেষ্ঠ অর্জন স্বাধীনতার ইতিহাস, মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস ও ত্যাগের ইতিহাসকে মুছে ফেলতে চেয়েছিলো এবং দেশের গণতন্ত্রকে হত্যা করেছিলো। বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রাষ্ট্রক্ষমতায় আসার মাধ্যমে দেশে মুক্তিযুদ্ধের মূলমন্ত্র এবং গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠিত হয়েছে। তাঁরই নিরলস প্রচেষ্টা ও নেতৃত্বে বিজ্ঞান, প্রযুক্তি ও আর্থ-সামাজিক উন্নয়নসহ সকল ক্ষেত্রে দেশ এক অনন্য উচ্চতায় পৌঁছে গেছে। ডিজিটাল বাংলাদেশ থেকে স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রচেষ্টাকে সফল করতে আগামী নির্বাচনে বঙ্গবন্ধুর আদর্শের অনুসারী ও মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের শক্তিকে রাষ্ট্রক্ষমতায় আনতে হবে। বিজয়ের মাসে এই প্রত্যয় গ্রহণ করার জন্য শিক্ষক, গবেষক, শিক্ষার্থীসহ সকলের প্রতি আহ্বান জানান উপাচার্য।
(ঢাকাটাইমস/০১ডিসেম্বর/এসকে/এমআর)